শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কঠিন প্রতিশোধের হুমকি ইরানের

রিপোর্টার / ১ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তবে তেহরান কঠিন প্রতিশোধ নেবে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। ১ অক্টোবরের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েল প্রতিশোধের অঙ্গীকার করার প্রেক্ষাপটে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
গত মাসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বিপ্লবী গার্ডের এক জেনারেলের জানাজায় সালামি বলেছেন, আপনারা যদি কোনও ভুল করেন এবং আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালান, সেটা মধ্যপ্রাচ্যেই হোক কিংবা ইরানে, আমরা আপনাদের আরও কঠিনভাবে আঘাত করবো।
২৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন কুদস বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার আব্বাস নিলফোরোশান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। ইরান জানিয়েছে, নিলফোরোশানের মরদেহ গত সপ্তাহে উদ্ধার করা হয়। সোমবার তার মরদেহ ইরানে আনা হয় এবং বৃহস্পতিবার ইস্পাহান শহরে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।
সালামি তার বক্তব্যে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাডকে ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন। পেন্টাগন মঙ্গলবার ইসরায়েলে থাড প্রতিরক্ষা ব্যাটারি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এটি পরিচালনা করতে প্রায় ১০০ জন মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসরায়েলকে উদ্দেশ করে সালামি বলেন, এই ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বাস করবেন না। মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যার পরেও নিরাপদ থাকা যাবে না। আমরা আপনাদের দুর্বলতাগুলো জানি এবং আপনারাও তা ভালোভাবেই জানেন।
থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে তা বায়ুমণ্ডলের ভেতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষ্যবস্তুকে আটকাতে সক্ষম হয় বলে এর নির্মাতা লকহিড মার্টিনের দাবি।
সালামির এই বক্তব্য এমন সময় এলো যখন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন। গাজা ও লেবাননের সংঘাত পুরো অঞ্চলে যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য এই প্রচেষ্টা। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আরাগচি লেবানন, সিরিয়া, সৌদি আরব, কাতার, ইরাক, ওমান ও জর্ডান সফর করেছেন। বর্তমানে তিনি মিসরে অবস্থান করছেন এবং এরপর তুরস্ক সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইরান দাবি করেছে, অক্টোবরের ১ তারিখে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল নিলফোরোশান, নাসরাল্লাহ ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধানের হত্যার প্রতিশোধ। ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগই তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর