শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুক্তি পেল চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী এস আলমের আরও ৯ হাজার কাঠা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধীরগতি, নতুন করে ‘অতি দরিদ্র’ হবে ৩০ লাখ মানুষ ভারতের কারণে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা এবার পাকিস্তানিদের সব ধরনের ভিসা স্থগিত করল ভারত কাশ্মিরে হামলার জের, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ সিদ্ধান্ত ভারতের অবশেষে পদত্যাগ করলেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা দেবে কাতার ফাউন্ডেশন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান

ভূমিও যৌন হয়রানির শিকার

রিপোর্টার / ৮২ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

২০১৪ সালে ‘দম লাগাকে হ্যায়সা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ওজন বাড়িয়েছিলেন তখনকার নবাগত নায়িকা ভূমি পেড়নেকর। সেই সিনেমার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি যে পরিশ্রমী, সেটি যেমন পর্দায় প্রমাণ করেছিলেন, তেমনি স্বাস্থ্য সুরক্ষাতেও। পরবর্তী সময় খুব দ্রুতই কমিয়ে ফেলেছেন ওজন। এরপর একের পর এক সিনেমায় বাজিমাত করেছেন তিনি। বর্তমানে আর জি করের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভে উত্তাল পুরো ভারত। একে একে নিজেদের সঙ্গে যৌন হেনস্তা নিয়ে মুখ খুলছেন টলিউড থেকে বলিউড তারকারা। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি ভূমি পেড়নেকরও। আর জি করের ঘটনার পর নতুন করে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন সব মহলে। এবার সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন অভিনেত্রী ভূমি।
সোমবার কলকাতায় গিয়ে লিঙ্গবৈষম্য ও নারী নির্যাতনের মতো প্রসঙ্গ নিয়ে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলেন ভূমি। যুগ যুগ ধরে চলে আসা অত্যাচারে জর্জরিত নারীর কষ্ট নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
ভূমির ভাষ্য, এককথায় সেই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু মেয়েদের এবার মুখ খোলার তাগিদ দিলেন অভিনেত্রী। নারীদের সঙ্গে হওয়া প্রতি মুহূর্তে ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কথা সমাজকে জানানোর আহ্বান জানান অভিনেত্রী।
নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের উদাহরণ টেনে ভূমি বলেন, দেশের প্রতিটি পরিবারের মেয়েরা কোনো না কোনোভাবে হেনস্তার শিকার। আমিও আক্রান্ত হয়েছি, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। দিনের পর দিন সেই ঘটনা মনের মধ্যে পুষে রেখেছি। যার ছাপ পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। তাঁর মতে, একে তো হেনস্তার শিকার, তার ওপর লোকলজ্জার ভয়ে নীরব থাকা। মেয়েদের ওপর এ যেন সাঁড়াশি আক্রমণ! যার ভারে মেয়েরা জর্জরিত ও ক্লান্ত। তবু তার সমাধান নেই।
ভূমি বলেন, সমস্যা যেমন আছে, তার সমাধানও রয়েছে। ঘর থেকেই দিনবদল ঘটাতে চান তিনি। বলেন, নারী যেমন পুরুষকে সম্মান করবে, তেমনি নারীকে সম্মান করা শিখতে হবে পুরুষকেও। এতেই লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে। তাঁর দ্বিতীয় পরামর্শ, কর্মক্ষেত্রেও লিঙ্গসমতা ফেরাতে হবে। টেকনিশিয়ানদের থেকে শুরু করতে হবে, শেষ হবে পরিচালনার স্তরে। মেয়েরা যেমন বলবেন, তাঁদের বক্তব্যও শুনতে হবে। পোশাক থেকে আচরণ—মেয়েদের সবকিছু নিয়ে সারাক্ষণ সমালোচনা চলে। ভূমির মতে, এটাও নারী হেনস্তার অন্যতম কারণ।
পাশাপাশি শিশুদের মানবিক বিকাশের ওপরও জোর দেন ভূমি পেড়নেকর। কারণ, এখনকার শিশুরা আগের তুলনায় অনেক বেশি অমানবিক। আফসোস করে অভিনেত্রী বলেন, তারা কুকুরের লেজে বাজি বেঁধে জ্বালায়! শিশুদের মধ্যে মানবিকতার শিক্ষা থাকলে ভবিষ্যতে তারা মান ও হুঁশ সম্পন্ন মানুষ হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর