শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুক্তি পেল চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী এস আলমের আরও ৯ হাজার কাঠা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধীরগতি, নতুন করে ‘অতি দরিদ্র’ হবে ৩০ লাখ মানুষ ভারতের কারণে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা এবার পাকিস্তানিদের সব ধরনের ভিসা স্থগিত করল ভারত কাশ্মিরে হামলার জের, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ সিদ্ধান্ত ভারতের অবশেষে পদত্যাগ করলেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা দেবে কাতার ফাউন্ডেশন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান

প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ‘গাছের পাতাও নড়তে দেবে না’ গোয়ালিয়র পুলিশ

রিপোর্টার / ২৯ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

গোয়ালিয়র শহর থেকে শংকরপুর, প্রায় ৪০ মিনিটের রাস্তা। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) নতুন মাঠ শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম সেখানেই, শহরের বাইরে। আশপাশে পাহাড়ে ঘেরা নতুন এই স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে এখনো কাজ চলছে। কংক্রিটের দাপট স্টেডিয়ামের সবখানে। কর্মকর্তারা সবাই খুব ব্যস্ত। ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটা যেন ঠিকঠাক হয়, সেই চেষ্টা দেখা গেল স্টেডিয়ামের বাইরেও।
ভারত–বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচের ভেন্যু এটি। এই ম্যাচ ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তাও আছে। যে কারণে মাঠে আসার দুটি রাস্তার মধ্যে একটি পুলিশ বন্ধ করে রেখেছে। মাঠের ভেতরেও পুলিশের ভিড় দেখা গেল। জানা গেছে, দুই দলের টিম হোটেলেও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কানপুরের মতো গোয়ালিয়রেও হোটেল থেকে খেলোয়াড়দের বের হওয়া নিষেধ।
গোয়ালিয়রের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সব মিলিয়ে এ ম্যাচের নিরাপত্তায় গোয়ালিয়রের পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। কানপুর টেস্টের মতো গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হিন্দু মহাসভার হামলা করার হুমকি আছে। গোয়ালিয়রের স্থানীয় সাংবাদিক বিজয় জানান, বাংলাদেশ দলের গোয়ালিয়র আসা নিয়ে হিন্দু মহাসভা প্রতিবাদ জানিয়েছে। ছিল অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনও। পুলিশ এর মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরেক পুলিশ কর্মকর্তা কঠোর নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে বললেন, আমরা গাছের একটা পাতাও নড়তে দেব না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
বাংলাদেশ দল আজ দুপুরে শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে। সন্ধ্যায় আসবে ভারতীয় দল। আগামীকাল সন্ধ্যায় অনুশীলন বাংলাদেশ দলের, দুপুরে ভারতের। রোববার তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর