নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব পাশ
![](https://voicebangla.net/wp-content/uploads/2024/06/image-141365-1718089834-700x390.jpg)
গাজায় আট মাস ব্যাপী যুদ্ধ অবসানে একটি যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের করা প্রস্তাবটি সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের যে প্রস্তাব দেন সোমবার তার ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪টি। ১৫ সদস্যের মধ্যে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল কেবলমাত্র রাশিয়া।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াকে ‘আশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) জেরুজালেমে ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে কথার বলার পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি। তবে হামাসের নেতার কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চিয়তা পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল যুদ্ধ পরবর্তী গাজার পরিকল্পনা নিয়ে কথোপকথন শুরু হবে, যা আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, এই পরিকল্পনাগুলো থাকা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আট মাস পুরনো যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মঙ্গলবার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ব্লিঙ্কেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার একদিন পর ইসরায়েলে সফর করেন তিনি।
ব্লিঙ্কেনের এই সফরের আগে, ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই নিজেদের শক্ত অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে। তাদের এমন মনোভাব যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে এর আগে মধস্ততাকারীদের করা আলোচনা প্রচেষ্টাগুলোকে দুর্বল করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার সিনিয়র হামাস কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে হামাস।
ইসরায়েলও যেন প্রস্তাবটি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে অবিলম্বে দখলদারদের যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রকৃত পরীক্ষার মুখে রয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, হামাসের বিবৃতিটি ‘একটি আশাব্যঞ্জক’ ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে গাজায় হামাসের নেতৃত্বের কাছ থেকে এখন নিশ্চয়তা প্রয়োজন। এটি গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের কাছে এখনও তা নেই।
ইসরায়েল বলেছে, হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধে সাময়িক বিরতির বিষয়ে আগ্রহী তারা। তবে হামাস বলছে, তারা এমন একটি চুক্তি মেনে নেবে না যেটি যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার কোনও নিশ্চয়তা দেবে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, আলোচনায় যুদ্ধ পরবর্তী গাজার পরিকল্পনাগুলো নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। এর মধ্যে গাজায় নিরাপত্তা, শাসন এবং বিধ্বস্ত গাজার পুনর্নির্মাণের বিষয়গুলো রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, আমরা এই অঞ্চলের অনেক অংশীদারের সঙ্গে পরামর্শ করে এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছি। সেই কথোপকথন অব্যাহত থাকবে…এই পরিকল্পনাগুলো থাকা আমাদের জন্য অপরিহার্য।