ধেয়ে আসছে রিমাল, প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা

ধেয়ে আসছে রিমাল। প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা দিঘায়। ওকানে সময় কাটানোর প্ল্যান থাকলে, এখনই পরিবর্তন করে ফেলুন। নইলে সমস্যায় পড়তে হবে পর্যটকদের। শনি-রবি এই দুইদিন কোনও পর্যটক থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
লোকসভা নির্বাচনে আগামীকাল ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ। অন্যান্য কেন্দ্রের পাশাপাশি নির্বাচন রয়েছে কাঁথি লোকসভাতেও। কাঁথি লোকসভার মধ্যেই পড়ে রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘা। ফলে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ অনুসারে, নির্বাচনের আগের দিন থেকে বহিরাগতরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে দিঘায় বেড়াতে এলে সমস্যায় পড়তে হবে পর্যটকদের। তাই শনি ও রবি দুদিন যাঁরা দিঘায় বেড়াতে আসার পরিকল্পনা করে রেখেছেন, তাদের এই দুদিন দিঘা এড়িয়ে চলা-ই ভালো৷ কারণ দিঘা যাওয়ার রাস্তায় মোড়ে মোড়ে চলছে পুলিশের চেকিং। বৈধ প্রমাণপত্র দেখাতে না পারলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
প্রশাসনিকভাবে শনি ও রবি দিঘায় পর্যটক থাকতে পারবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে। এর মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আগামী ২৬ মে রবিবার ল্যান্ডফল করার কথা। আজ ২৪ মে থেকেই রিমালের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া এলাকায় শুরু হয়েছে ঝড় ও বৃষ্টি। কোস্টগার্ডের পক্ষে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষ করে দিঘা থেকে হলদিয়া, ৭২ কিলোমিটার সমুদ্র বাঁধ কেমন আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেচ দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপকূলের ব্লক প্রশাসন, গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সবাইকেই অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বন্যা উদ্ধার কেন্দ্রগুলোকে তৈরি করা হচ্ছে। প্রতি বারের মতো ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে অতি গভীর নিম্নচাপের আকারে সিস্টেমটি অত্যন্ত ধীর গতিতে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করতে করতে ক্রমশ উত্তর – উত্তর পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের সুন্দরবন লাগোয়া অভিমুখে এগোচ্ছে সিস্টেমটি। ২৫ মে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে সিস্টেমটি। তখন এর নাম হবে রিমাল। ২৬ তারিখ রবিবার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে। ল্যান্ডফলের সময় সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
সেই সময় হাওয়ার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৩০ কিলোমিটার। আশঙ্কা রয়েছে, শেষ মুহূর্তে একেবারে স্থলভাগের কাছাকাছি এসে ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য রিকার্ভ বা অভিমুখ পরিবর্তন করতে পারে।
সূত্র: জি-নিউজ।