গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে কমছে পশুপালন

ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অজুহাতে দাম বেড়েছে সবরকমের জিনিসপত্রের। এ তালিকায় বাদ নেই গোখাদ্যও। এতে দিশেহারা রাজশাহীর খামারিরা। নিরুপায় হয়ে খামারের পরিসর কমিয়েছেন অনেকেই।
খামারিদের দাবি, গত কয়েক বছরে শুধু গোখাদ্যের দামই বেড়েছে ৩-৪ গুণ পর্যন্ত। চিকিৎসা ও ওষুধ ব্যয়ও বেড়েছে। তাই খামারে গরুর সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয়েছেন বেশিরভাগ খামারি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, কোরবানি ঘিরে রাজশাহীতে এবছর চার লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি গরু, তিন হাজার ৭৬৯টি মহিষ ও তিন লাখ ৪২ হাজার ৭৫৩টি ছাগল। জেলায় খামার বা চাষি আছে সাড়ে ১৭ হাজার। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা তিন লাখ ২৪ হাজার ৯৭৭টি। ফলে প্রতি বছরের মতো এবারও স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এক লাখ ৪১ হাজার ২১৯টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এগুলো অন্য জেলার চাহিদা মেটাবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি আহমেদ শফিউদ্দিন বলেন, একসময় পতিত জমি বা চরাঞ্চলের পরিত্যক্ত জমিতে ব্যাপক গোখাদ্য উৎপাদন হতো। কিন্তু দিন দিন এসবের পরিসর ছোট হয়ে আসছে। এখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মানুষকে অধিক মূল্য দিয়ে পশু কিনতে হবে। এতে অনেক শিক্ষিত যুবসমাজ যারা গোখামারে এগিয়ে আসছিলেন, তারা এখন পিছিয়ে যাবেন। সংশ্লিষ্টদের উচিত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।