জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এক সাক্ষাতে ভারতীয় স্পিকার এ আশাপ্রকাশ করেন। অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, ভারতীয় লোকসভার মহাসচিব, ভিয়েনায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে শিরীন শারমিন বর্তমানে বিয়েনায় অবস্থান করছেন।দুই স্পিকার সাক্ষাতের সময় আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, দুই দেশের সংসদীয় কূটনীতি, বিরাজমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, লোকসভা টিভি ও সংসদ টিভির সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পরস্পর অকৃত্রিম বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও ভারতের জনগণ বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছিল তা হৃদয়স্পর্শী। মুক্তিযুদ্ধকালীন সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ব্যাতিক্রম। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসেন, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শিরীন শারমিন আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, সংস্কৃতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তারা ভারতের লোকসভায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন, কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে যা ব্যাহত হয়েছে। গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্র হিসেবে দুই দেশের সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সংসদ টেলিভিশন এবং লোকসভা টেলিভিশন পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের আরো সমৃদ্ধ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় ভবিষ্যতে যে কোনো বিষয়ে একত্রে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন লোকসভার স্পিকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের সরকারি হিসাব কমিটির শততম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওম বিরলা শিরীন শারমিনকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। তবে ওই সময় বাংলাদেশে `আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন‘থাকায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হলে পরে সুবিধাজনক সময়ে ভারত সফরের আশা প্রকাশ করেন শিরীন শারমিন।