কয়লার অভাবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ৫ জুনের পর বন্ধ হয়ে যাবে: প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি সংকটের কারণে চলমান লোডশেডিং আরও কিছু দিন থাকবে। জ্বালানি সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন ৫ জুনের পর সাময়িক সময়ের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা ল্যাবরেটরি অ্যান্ড প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধনের পর এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. এম সামসুল আলম বক্তব্য দেন।
নসরুল হামিদ বলেন, কয়লার অভাবে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (পায়রা) অর্ধেক বন্ধ আছে। আগামী ৫ তারিখের পর বাকি অর্ধেকও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে সিস্টেমে একটি বড় অংশ বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কিছুটা জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের ওপরে লোডশেডিং চলছে। এছাড়া এলসি খুলতে দেরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়লা আমদানি করতে আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘তেলের ব্যাপারেও আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ডাইভার্ট করছি বেশির ভাগ গ্যাস। আর গরম বেড়ে গেছে, ৩৮ ডিগ্রির ওপরে চলে গেছে, কোনও কোনও জায়গায় ৪০-৪১ ডিগ্রি। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে লোডশেডিং বেড়েছে। কিছু দিন এ পরিস্থিতি থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে কয়লা সংকটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের একটি বন্ধ হয়ে যায়।