মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফাকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার নথিসহ (কেস ডকেট) আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
পরীমনিকে শেষ দুই দফা রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে তার অবস্থান সেদিন হাই কোর্টের সামনে তাকে জানাতে হবে।
এছাড়া ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ ও আতিকুল ইসলাম কী কী তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।
আদালত আদেশে বলেছে, তাদের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে এ দুই হাকিমকে তলব করা হতে পারে।
জামিন সংক্রান্ত রুল ও রিমান্ডের বৈধতা প্রশ্নে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির এক আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
গত ৪ অগাস্ট ঢাকার বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। প্রায় এক মাস পর বুধবার জামিনে মুক্তি পান তিনি।
এ মামলায় তিন দফায় মোট টানা সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
গত ৫ অগাস্ট প্রথম দফায় চার দিন, ১০ অগাস্ট দুই দিন এবং ১৯ অগাস্ট একদিনের রিমান্ডে পাঠনো হয় পরীমনিকে।
বার বার রিমান্ডের বৈধতা প্রশ্নে স্বতঃস্ফূর্ত রুল চেয়ে গত ২৯ আগস্ট হাই কোর্টে আবেদন করে মানবাধিকার ও আইনি সহায়তাকারী সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ।
পরে তা আদালতে উপস্থাপন করা হলে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক মোস্তফা জামান ইসলাম পরে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাওয়ায় শুনানি মুলতবি করা হয়।
বুধবার মুলতবি করার আগে শুনানির এক পর্যায়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, তৃতীয় দফায় পরীমনির রিমান্ড মঞ্জুর করে ম্যাজিস্ট্রেট ‘রিমান্ড ক্ষমতার অপ্যবহার’ করেছেন।
“তাদের সামনে কী ম্যাটেরিয়াল (তথ্য-উপাত্ত) ছিল যে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনে রিমান্ড মঞ্জুর করলেন? এগুলো কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না।”
পরে বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতিতে শুনানি করে আদেশ দিল হাই কোর্ট।