কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে এটা অনুমিতই ছিল। তাই ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের নামটি চমকপ্রদ হয়ে আসেনি। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসির হাতে উঠেছে ফিফা দ্য বেস্টের খেতাব। তাও আবার কিলিয়ান এমবাপ্পে ও কারিম বেনজিমাদের হারিয়ে।
মেসির হাত ধরে ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা ঘুচেছে আর্জেন্টিনার। তাতে প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা হয়েছে মেসিরও। স্বপ্নের মতো একটি বছর কাটিয়ে আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরের আনন্দ আর ধরে না। বর্ষসেরা হয়ে বলেছেন, ‘আশ্চর্যজনক বলা যায়। সত্যিকার অর্থে অসাধারণ একটি বছর কেটেছে। এই পুরস্কার জেতা এবং এখানে উপস্থিত থাকতে পারা আমার জন্য সম্মানের।’
পুরস্কার অনুষ্ঠানে মেসি ক্লাব সতীর্থ এমবাপ্পের পাশে বসেছিলেন। ফিফা দ্য বেস্টের পুরস্কার মেসির জীবনে দ্বিতীয় বর্ষসেরার পুরস্কার। সর্বশেষ এবং প্রথমটি এসেছিল ২০১৯ সালে। তাছাড়া রেকর্ড ৭টি ব্যালন ডি’অরও রয়েছে তার দখলে। সার্বিক অর্জনের পর কোচ, সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি, আমি কোচ স্ক্যালোনি ও সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, তাদের অবদান ছাড়া এখানে আজ উপস্থিত হতে পারতাম না।
ক্লাব ক্যারিয়ারে সব কিছু জেতা হলেও যে মাপকাঠিতে একজন ফুটবলার উচ্চ শিখরে পৌঁছায় সেই বিশ্বকাপ ট্রফিটাই ছিল না আর্জেন্টাইন তারকার। ২০১৪ বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। অবশেষে ২০২২ বিশ্বকাপে এসে অসাধ্য সাধন করেছেন। মেসি মনে করেন তিনি যথেষ্ট ভাগ্যবান বলেই এটি সম্ভব হয়েছে, ‘এমন একটা স্বপ্ন বাস্তবে অর্জিত হয়েছে, যার অপেক্ষায় অনেক দিন ছিলাম। অবশেষে সেটা পূরণ হয়েছে। অনেকের জন্য এটা স্বপ্ন। খুব কম লোকই তা পায় এবং আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান বলে সেটা করতে পেরেছি।’
কাতার বিশ্বকাপে ৭ গোল করেছেন মেসি। রোমাঞ্চকর ফাইনালে আছে জোড়া গোল! এই মৌসুমে ২৭ ম্যাচে তার গোল ১৬টি। অ্যাসিস্টও করেছেন ১৪টি।