আমরা ওয়াকওভার চাই না, খেলতে চাই: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনি ভীতি পেয়ে বসেছে। এটি স্বাভাবিক, কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে পূর্ণশক্তি দিয়ে অংশ নিয়ে বিএনপি মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল।’
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে আগত দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী, জার্মানির সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভলকার ইউ ফ্রেডরিচ, ভুটানের গ্লোবাল ভিলেজ কানেকশনের চেয়ারম্যান জ্যাকসন দুকপা, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বুয়েটের উপ-উপাচার্য ও ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান ও কৃষিবিদ ড. আজাদুল হক বৈঠকে অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন তারা বর্জন করে আসলে গণতন্ত্রটাকেই প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতি ডান-তালেবান সবাইকে নিয়ে বিরাট মোর্চা ঐক্য করে পেয়েছিল ৬টি আসন। এখন যাদের নিয়ে ঐক্য করেছে তারা যখন প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে, তখন যত না লোক থাকে তার চেয়ে বেশি থাকে সাংবাদিক। সে জন্য নির্বাচন ভীতি তাদের পেয়ে বসেছে। তারপরও আমি আশা করবো তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তবে বিএনপি এখন হাঁটা শুরু করেছে, দেখা যাক তারা কত বছর হাঁটে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সব দল যাতে অংশগ্রহণ করে সে জন্য কমিশন উদ্যোগ গ্রহণ করবে। খেলায় আয়োজকরা নিশ্চিত করে কারা কারা খেলতে আসবে। অন্যরা কে খেলবে বা খেলবে না সেটা যারা খেলতে যাবে তাদের দেখার দায়িত্ব না। তেমনি নির্বাচনের খেলার মাঠে আমরা একটা দল, বিএনপিও একটা দল। আমরাও চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। আমরা ওয়াকওভার চাই না, আমরা খেলতে চাই, খেলে গোল দিয়ে জিততে চাই এবং দল হিসেবে আহ্বান জানাই, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়।