বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন

‘সন্ত্রাসের জন্য অর্থ নয়’– কবে বুঝবে পাকিস্তান?

ফারাজী আজমল হোসেন / ৮৩ বার
আপডেট : সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বিগত দুই দশক ধরে অসংখ্য জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলায় কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে পাকিস্তানকে। দেশটির অভ্যন্তরে প্রতিনিয়ত জঙ্গিদের উৎপাত, সেই সঙ্গে এই সন্ত্রাসীদের সহায়তায় ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা বা ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার বিষয়টি অজানা নয় কারও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর যেই গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল তা পাকিস্তানের সরবরাহ করা ছিল, অন্যদিকে ২০০৮ সালের মুম্বাইয়ে চালানো জঙ্গি হামলায় সম্পূর্ণ জড়িত ছিল পাকিস্তানের জঙ্গিরা। যেই জঙ্গিদের নেতাকে আশ্রয় ও রক্ষার কাজটি নিজেদের বিচার বিভাগের মাধ্যমে করে যাচ্ছে পাকিস্তান।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি দেশকে নতুন এবং উঠতি জঙ্গিবাদীদের অর্থায়নের ঝুঁকি মোকাবিলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, এই মর্মে অক্টোবরে জাতিসংঘের কাউন্টার-টেরোরিজম কমিটির বৈঠকের পরপরই ভারত নয়াদিল্লিতে ‘নো মানি ফর টেরোরিজম’ (এনএমএফটি) বা জঙ্গিবাদের জন্য কোনও অর্থ নয় এই ভাবনাকে ভিত্তি করে অর্থায়ন প্রতিরোধে তৃতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের আয়োজন করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সম্মেলনের আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জঙ্গিবাদের বিপদ সম্পর্কে সবাই অবগত হলেও এখনও পাকিস্তানসহ বহু দেশ জঙ্গিবাদে মদত জুগিয়ে চলেছে।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদকে মদত জোগানোর অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ভারতে একাধিক জঙ্গিবাদী আক্রমণে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের নাম জড়িয়েছে। পাকিস্তানি মাটি ব্যবহার করে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিবাদীরা। জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত সংগঠনগুলোও পাকিস্তানের মাটিতে বহাল তবিয়তে রয়েছে। ভারতের মুম্বাই শহরে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিবাদীরা ১৭০ জন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা এবং ৩০৪ জনকে মারাত্মক জখম করে।  বাংলাদেশের মাটিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গেও পাকিস্তানি যোগাযোগের যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। ২০০০ সালের নির্বাচনের জন্য পাকিস্তান দূতাবাস বিএনপি-জামায়াতকে প্রচুর পয়সা দিয়েছিল, সে কথা আইএসআই’র সে সময়ের প্রধান পাকিস্তানের আদালতে প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় যে পাকিস্তানের হাত ছিল, সেটা দিবালোকের মতোই পরিষ্কার। জঙ্গিবাদীদের অর্থায়নে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর ২০১৫ সালে পাকিস্তান হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) ফারিনা আরশাদকে বাংলাদেশ থেকে তার দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আজও একইভাবে পাকিস্তান জঙ্গিবাদকে মদত জুগিয়ে চলেছে। শুধু ভারত বা বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে ইসলামাবাদ যুক্ত। পশ্চিমা গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে প্রামাণ্য তথ্য তুলে ধরে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পাকিস্তানের জঙ্গি মদতের বিপরীতে ভারত-বাংলাদেশসহ বহু দেশ আন্তর্জাতিক স্তরে শান্তির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা করেছিলেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, ‘এনএমএফটি সম্মেলনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি জঙ্গিবাদী হুমকির বিরুদ্ধে মোদি সরকারের জিরো-টলারেন্স নীতি তুলে ধরা।’

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এই সম্মেলনে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় সংকল্পের কথা। ৮৭টি দেশ এবং ২৬টি বহুপাক্ষিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ পাঠিয়ে ভারত ‘জঙ্গিবাদ দমনে দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা’ চালানোয় আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছে।

জঙ্গিবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মিলিত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক স্তরে সংঘবদ্ধ লড়াই করাই ছিল এনএমএফটি মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।  ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে মারাত্মক ইসলামিক স্টেট বা আইএসআইএস হামলার পর ফ্রান্সে শুরু হয় প্রথম এনএমএফটি সম্মেলন।

বন্দুকধারীরা ২০১৫ সালে প্যারিস ও তার শহরতলির অন্তত ১৪৭ জনকে হত্যা করার পর ২০১৮ সালে প্রথমবার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অর্থপাচার এবং জঙ্গিবাদে অর্থায়ন বন্ধে নিয়োজিত ফরাসি দফতর ‘ট্র্যাকফিন’-এর তৎকালীন প্রধান বলেছিলেন, সামরিক পরাজয়ের পর থেকে, আইএসআইএস ফের গোপন ডেরায় ফিরে গিয়ে ক্ষুদ্র অর্থায়নের আন্তর্জাতিক উৎসগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে। পরের বছর মেলবোর্নে এনএমএফটি সম্মেলনেও জঙ্গিবাদীদের অর্থায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জঙ্গিবাদ বাড়তি গুরুত্ব পায় সেই সম্মেলনে।

জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পিটার নিউম্যানের মতে,  ২০০১ সাল থেকে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াই অকার্যকর হয়েছে। ‘টাকা অনুসরণ করবেন না’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, কম খরচেও জঙ্গিবাদী হামলা সহজে কার্যকর করা যায়। কীভাবে জিহাদি গোষ্ঠীগুলো আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার না করে সহজেই অর্থ স্থানান্তর করতে পারে সেটিও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কিন্তু জাতিসংঘ ১৯৯৯ এবং ২০০১ সালে জঙ্গিবাদীদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণের পরবর্তী দুই দশকে কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। অবৈধ মুনাফার লোভে বহু দেশ নিষেধাজ্ঞাগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে জঙ্গিবাদীদের মদত জুগিয়েছে।

বিভিন্ন দেশের জঙ্গিবাদে মদত বন্ধে আইন প্রয়োগকারী, সরকার এবং আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে হবে। প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে অপরাধমূলক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে চাই সমবেত প্রচেষ্টা। জঙ্গিবাদীদের অর্থায়ন বন্ধে গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এখনও পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারেনি। অথচ জঙ্গিবাদীদের অর্থায়নের প্রশ্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বহু তথ্য-প্রমাণ এফএটিএফকে দেওয়া হয়েছে।

মুম্বাইতে সম্প্রতি জাতিসংঘের জঙ্গিবাদবিরোধী এক সভায় ভারতের অতিরিক্ত সচিব সাফি আহসান রিজভি বলেন, ‘১৯৯৯ এবং ২০০১ সালে জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং পরবর্তীতে একটি ঝামেলাপূর্ণ এখতিয়ার তালিকাভুক্ত করা না গেলে গত চার বছর ধরে ভারতে শান্তির পরিবেশ থাকতো না।’

ভারতে জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে নজরদারিতেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অর্থ মূল্য স্থানান্তর পরিষেবা বা এমটিএসএস ছাড়াও হাওলা বা হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত। ড্রোনের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্রপাচারের জন্য সীমান্তবর্তী পাঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মিরে চেষ্টা চালানো হচ্ছে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত থেকে। এ বিষয়েও ভারত কড়া ভূমিকা নিয়েছে।

ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা এনআইএ-এর নথিভুক্ত বিভিন্ন মামলা থেকে ইঙ্গিত মিলছে, পাকিস্তান মদতপুষ্ট সংগঠিত অপরাধ এবং জঙ্গিবাদের চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে। এই বছরের শুরুর দিকে হরিয়ানার কর্নাল থেকে এমনই একটি ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হয়। জানা যায়, পাঞ্জাবে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং সেখানে জঙ্গিবাদ পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানভিত্তিক জিহাদিরা ভারতীয় ভূখণ্ডে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছিল।

অতি সম্প্রতি আরও একটি ভয়ংকর ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আসে।  এনআইএ ৫০টিরও বেশি স্থানে তল্লাশি অভিযান ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে জঙ্গিবাদী, দাগী অপরাধী এবং মাদক চোরাচালানকারীদের মধ্যে উদীয়মান সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনতে সক্ষম হয়।  চাঁদাবাজি, অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন, মাদক চোরাচালান, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের জন্য অবৈধ অস্ত্র বিক্রির মতো  অপকর্মে জড়িতদের গ্রেফতারের মাধ্যমে জানা যায় যুবকদের নিয়োগের মাধ্যমে তারা আরও তহবিল সংগ্রহ করছিল।

চলতি বছরের মে মাসে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থানে এনআইএ-এর অভিযানে দেখা গেছে যে দাউদ ইব্রাহিম এবং তার সহযোগীদের অধীনে জাতিসংঘের নিষিদ্ধ জঙ্গিবাদী সংগঠন ডি-কোম্পানি ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর হামলা করে ভারতীয়দের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য একটি বিশেষ শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে। রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী এবং অন্যরা তাদের বিস্ফোরক বা আগ্নেয়াস্ত্রের নিশানায় পরিণত হয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, অপরাধের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ কাজে লাগাতে ডি-কোম্পানি ডিজিটাল টুলস, ডার্কনেট এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছে।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত অপরাধ, অস্ত্রপাচার, চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য, ব্যক্তিগত তহবিল এবং অলাভজনক সংস্থাগুলো বা এনজিও জঙ্গিবাদীদের অবৈধ অর্থের প্রধান উৎস। তবে এরমধ্যে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা হলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

পাকিস্তান সমানে জঙ্গিবাদীদের মদত জুগিয়ে চলেছে। শুধু ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিবাদীদের অর্থায়ন ও রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের ভূমিকা সবার জানা রয়েছে। চীন পাকিস্তানের জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে মদত জোগানোর বিরুদ্ধে কখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ভারত পাকিস্তানের জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে দাবি তুললেই বেইজিং ইসলামাবাদের সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই এনএমএটির সম্মেলনে জঙ্গিবাদ দমনে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় পাকিস্তানের পাশাপাশি চীনের ভূমিকারও উল্লেখ রাখা জরুরি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে শুধু পর্যায়ক্রমিক ভিত্তিতে নয়, বরং পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন এবং উদীয়মান জঙ্গিবাদে অর্থায়নের ঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের নীতি সংস্থানগুলো যাতে একত্রিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে অর্থায়ন এবং অর্থপাচারের পূর্বাভাসমূলক অপরাধ হিসাবে, জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং একটি দেশের আর্থিক অখণ্ডতাকে হুমকি দেয়। উদীয়মান জঙ্গিবাদে অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ এবং সর্বোত্তম প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের আনার প্রচেষ্টাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তকারী এবং রাষ্ট্র পরিচালকদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার একটি পদক্ষেপ। সেদিক থেকেও ভারতের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, সময়োপযোগী ও জরুরি পদক্ষেপ।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যতই উন্নয়নের চেষ্টা করুক ভারত, বাংলাদেশ বা অন্যান্য দেশ, পাকিস্তান যতক্ষণ পর্যন্ত জঙ্গি অর্থায়ন ও সহায়তার বিষয়টিতে তাদের ও আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে মনে না করছে, ততদিন পর্যন্ত এই সমস্যাকে সমূলে উৎপাটন সম্ভব নয়। তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ‘সন্ত্রাসের জন্য অর্থ নয়’ বিষয়টি কবে বুঝবে পাকিস্তান।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর