সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘে রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট: বিরত থাকল বাংলাদেশ

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৬৩ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

টানা প্রায় নয় মাস ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। দীর্ঘ সময় ধরে রুশ আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি সামরিক-বেসামরিক বহু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার (১৪ নভেম্বর) জাতিসংঘে রাশিযার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ওই প্রস্তাবে রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সোমবার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ওই প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য এবং ইউক্রেনে আক্রমণের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রত্যাবাসন ও প্রতিকার ব্যবস্থা তৈরির জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানানো হয়। সোমবারের এই ভোটাভুটিতে মোট ৯৪টি দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে অনেকটা প্রত্যাশিত ভাবেই এদিন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ। অবশ্য শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, পাকিস্তান-সহ মোট ৭৩টি দেশ এদিন ভোটদানে বিরত ছিল।

অন্যদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর ভারত বরাবরই রাশিয়ার পাশে থেকেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিরাপত্তা পরিষদ, সাধারণ পরিষদ এবং মানবাধিকার পরিষদসহ জাতিসংঘে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত নানা প্রস্তাবে ভারত বেশিরভাগ সময়ই ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ব্রাজিল, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল, নেপাল, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা ভোটদানে বিরত ছিল। অন্যদিকে মোট ১৪টি দেশ এদিন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা এই রেজুলেশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে চীন, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরান, রাশিয়া এবং সিরিয়ার নাম রয়েছে।

সোমবার পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়াকে দায়ী হতে হবে বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে আগ্রাসনের মাধ্যমে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন, সেইসাথে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘনসহ রাশিয়াকে অবশ্যই তার আন্তর্জাতিকভাবে অন্যায় কাজের সকল আইনি পরিণতি বহন করতে হবে বলে বলা হয়েছে। এর মধ্যে হামলার জন্য ক্ষতিপূরণ বহন করা এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট যে কোনও ক্ষয়ক্ষতির দায়িত্বও রাশিয়াকে নিতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেড়েছে। এমনকি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মস্কো থেকে তেল আমদানি অনেক বাড়িয়েছে ভারত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর