সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন

ভোক্তা অধিকার আইন কঠোর ও জরিমানা দ্বিগুণ হচ্ছে

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৭৫ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভোক্তা অধিকার আইন আরও কঠোর হচ্ছে একই সঙ্গে জরিমানাও দ্বিগুণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাপিড অ্যাকশন নিই। কিন্তু সেটা প্রশাসনিক আইন, জুডিশিয়াল আইন নয়। আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা সেই চেষ্টা করছি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অবহিতকরণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং প্রেসক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রশিক্ষণ ও পেশার মান উন্নয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ভানু রঞ্জন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম বক্তব্য রাখেন। এ সময় যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফরোজা রহমান এবং সিনিয়র সাংবাদিকসহ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয়।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ভোক্তারা প্রতারিত হতে হতে এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, এখন অধিকার খর্ব হচ্ছে, সেটাই আর বুঝতে পারে না। তথ্য অনুযায়ী তেলের সংকট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সংকট হয়েছে। কোম্পানিগুলো উৎপাদন কমিয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরবরাহ আদেশ ধরে রাখছে। এক কথায় এই বাজারে একধরনের মনোপলি বা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, একজন ভোক্তার ভোগ করার যে অধিকারগুলো আছে, তা আমরা জানতে চাই। ভোক্তা অধিকার সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে সুষ্ঠু সমাজ গড়ে উঠবে। রাষ্ট্রের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের ঠিক তেমনিভাবে ভোক্তাদের ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমরা প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছি। তবে জনবল সংকট আছে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি অপারেশন করে। তবে দেশের বাজার এতটা বিস্তৃত যে এর ১০ গুণ কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তা যথেষ্ট নয়।
সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে। আমাদেরও বেশ কিছু দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো ফিল্ড পর্যায়ে আমাদের শক্তিশালী সোর্চ বা ইনফরমার না থাকা। এ জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যেন তাদের গোয়েন্দা সোর্চ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমাদের অবহিত করে।
ফরিদা ইয়াসমিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশবাসীর অধিকার সংরক্ষণে জাতীয় প্রেস ক্লাব সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।  তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকারে সচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের বিকল্প নেই। সাংবাদিকরা নিজেরা যেমন তাদের অধিকারে সচেতন, তেমনি তারা জনগণকেও সচেতন করছেন। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর