৪৬ দিনের মানবাধিকার লঙ্ঘন: এক মাস পর রিপোর্ট দেবে জাতিসংঘ
জুলাই ১ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে সেটির স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার দায়িত্বে দেওয়া হযেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের অফিসকে। তারা এক মাস পরে প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের সঙ্গে বৈঠক করেন উপদেষ্টা। পরে ওই বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তদন্ত দলকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। তারাই এক মাস সময় চেয়েছিল। তাদের রিপোর্ট দিতে একমাস সময় লাগবে।
তদন্ত দলের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, তাদেরবিশেষ একটি কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রায় এক মাস কাজ করা হয়ে গেছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম রিপোর্ট দিতে কতদিন লাগবে এবং তিনি (ভলকার টুর্ক) জানিয়েছেন আরও হয়তো একমাস সময় লাগবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ঘটনা ঘটেছে সেটির ওপরে তারা রিপোর্ট তৈরি করছে।
কতদিন মেয়াদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট সময়। আমি বলেছি যে আমরা ওপেন-এন্ডেড। আমরা বলেছি, আপনারা যা দেখতে চান, দেখুন। আমার সঙ্গে আগে যে প্রতিনিধি দল দেখা করতে এসেছিল তাদের বলেছি, আমি বা আমার লোকজন আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে না। আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করেন। আপনাদের যদি কোনও প্রয়োজন লাগে, তবে আমাদের বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবেন। তারা সহায়তা করবে।
মানবাধিকার অফিস
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস খুলতে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করেন না পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস খুলতে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে এবং না দিলে কিছু হবে না– এটি মনে করার কোনও কারণ নেই। খুব অল্প কিছু দেশেই তাদের অফিস আছে। আমরা দেখছি যে আমাদের প্রয়োজন আছে কি না।
অফিস খোলার অনুমতির বিষয়ে সম্মতি-অসম্মতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্মতি ও অসম্মতি একসঙ্গে হতে পারে না। সম্মতি এবং অসম্মতির প্রশ্ন যখন আসে, তখন বুঝতে হবে যে এটি নিয়ে আলোচনা চলছে অথবা এটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি যে দেওয়া হবে। তবে দেওয়া হবে না, এটিও বলা হয়নি। আমরা এখনও পরীক্ষা করে দেখছি।’
জাতিসংঘ লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিতভাবে কোনও প্রস্তাব দেয়নি। তবে এটি নিয়ে কথা হয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস খোলার মধ্যে সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ দুটোর মধ্যে কোনও সম্পর্ক দেখছি না। আমরা তাদের নির্দিষ্ট একটি কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। সার্বিকভাবে মানবাধিকার নিয়ে একটি সমস্যা ছিল এবং এগুলোর সমাধান চাই। বিশেষ করে বর্তমান সরকার যে কাজ করছে সেটির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মানবাধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয়।