
গত বছর ভাগ্যশ্রী ‘থালাইভি’ ছবির মাধ্যমে ছায়াছবির দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। এই ছবির মূল চরিত্রে ছিলেন কঙ্গনা রনৌত ও দক্ষিণি নায়ক অরবিন্দ স্বামী। ভাগ্যশ্রী এক সাক্ষাৎকারে সালমানের সঙ্গে আবার ছবি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সালমানের সঙ্গে আবার ছবি করতে চাই। কিন্তু সবাই জানে যে সালমান কম বয়সী নায়িকাদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। আর এমন কোনো চিত্রনাট্য হতে হবে, যাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারব।’
১৯৮৯ সালে সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান ও ভাগ্যশ্রী। এ ছবিটি ব্লকবাস্টার হিট হয়েছিল। এরপর তাঁদের আর একসঙ্গে দেখা যায়নি।

‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির পর ভাগ্যশ্রী বেশ কিছু ছবি করেছিলেন। কিন্তু ছবিগুলো বক্স অফিসে একদমই ভালো ব্যবসা করতে পারেনি।
ভাগ্যশ্রী বিয়ের পর পুরোপুরি নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাই ছায়াছবির জগৎ থেকে দীর্ঘদিন দূরে ছিলেন। তবে ধীরে ধীরে আবার কাজে ফিরছেন। সিনেমাপ্রেমীরা দীর্ঘ সময় ধরে সালমান ও ভাগ্যশ্রীকে একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায়। এবার হয়তো-বা তাঁদের এই আশা পূর্ণ হতে পারে।
ভাগ্যশ্রীর ছেলে অভিমন্যু দশানি ইতিমধ্যে অভিনয়ের খাতা খুলে ফেলেছেন। এদিকে ২০০৩ সালে সতীশ কৌশিক পরিচালিত ‘তেরে নাম’ ছবিতে সালমান ও ভূমিকা চাওলার রোমান্স দেখা গেছে। এ ছবিটি ভাইজানের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলা যায়। কারণ, এর আগে তাঁর একের পর এক ছবি ফ্লপ করেছিল। ‘তেরে নাম’ ছবির মাধ্যমে সালমান দীর্ঘদিন পর হিটের মুখ দেখেছিলেন। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। তাই ভাগ্যশ্রী ও ভূমিকা দুই নায়িকাই সালমানের জন্য লাকি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ফরহাদ সামজি পরিচালিত ‘কিসি কে ভাই কিসি কে জান’ ছবিতে সালমান ছাড়া আছেন পূজা হেগড়ে, শেহনাজ গিল, রাঘব জুয়াল, সিদ্ধার্থ নিগম, জগপতি বাবুসহ আরও অনেকে। ছবিটি আগামী বছর ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাবে।