হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে ‘চূড়ান্ত পরাজিত’ হবে ইসরায়েল: ইরান

ইরান বলেছে, হিজবুল্লাহ নিজেকে এবং লেবাননকে রক্ষা করতে সক্ষম। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে গেলে ইসরায়েলের ‘চূড়ান্ত পরাজয়’ হবে বলেও সতর্ক করেছে তেহরান। লেবাননে ইসরায়েলের বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা বাড়তে থাকায়,শুক্রবার (২১ জুন) এক বিবৃতিতে এ সতর্কবার্তা দিলো তেহরান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘে ইরানের মিশন জানিয়েছে, নিজেকে বাঁচাতে দখলদার ইসরায়েলি শাসনের যে কোনও দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলকে একটি নতুন যুদ্ধে নিমজ্জিত করতে পারে। এর ফলে ১৯৪৮ সালে অধিকৃত ইসরায়েলি অঞ্চলসহ লেবাননের অবকাঠামোও বিধ্বস্ত হবে।
ওই পোস্টে বলা হয়, ‘নিঃসন্দেহে এই যুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসনের চূড়ান্ত পরাজয় হবে। লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন, হিজবুল্লাহর নিজেকে এবং লেবাননকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে – সম্ভবত এই অবৈধ শাসনের আত্ম-ধ্বংসের সময় এসেছে।’
ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহকে শুক্রবার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘শীঘ্রই আমরা হিজবুল্লাহকে মোকাবিলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব। কাটজ বলেন, ইরান ও চরমপন্থি ইসলামি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের পাশে নিঃশর্তভাবে দাঁড়াতে হবে মুক্ত বিশ্বকে ।
এদিকে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ চলতি সপ্তাহে বলেছেন, যদি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননে যুদ্ধে জড়ায়, তবে তার দল ইসরায়েলের পুরো ভূখণ্ডজুড়ে রকেট এবং ড্রোন হামলা চালাবে।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরের দিন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থনে উত্তর ইসরায়েলে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলও দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম ও হিজবুল্লাহ অবস্থানে বোমা হামলার জবাব দেয়। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনের সংঘর্ষ লেবানন এবং ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে হিজবুল্লাহ।