মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে মেরুন রঙের এফ প্রিমিও গাড়িতে করে তারা ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, মুসা বিন শমসের ও তার স্ত্রীকে ‘প্রতারক’ কাদের চৌধুরীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসা আব্দুল কাদের চৌধুরী তার স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ছোঁয়াসহ চারজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ বলছে, দশম শ্রেণি পাস কাদেরের মূল নাম আব্দুল কাদের মাঝি। ঢাকায় এসে প্রতারণার কৌশল হিসেবে মাঝি বাদ দিয়ে চৌধুরী ব্যবহার করছেন।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর শনিবার গোয়েন্দা কর্মকর্তা হাফিজ আকতার সংবাদ সম্মেলনে কাদেরের প্রতারণার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বলেছিলেন, কাদের একজন বড়মাপের প্রতারক। কোটি কোটি টাকা নানাধরণের প্রতারণার মাধ্যমে সে আয় করেছে। কাদেরকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে ছবি পাওয়া যায়। কাদের ডিবি কর্মকর্তাদের বলেছেন, তিনি মুসা বিন শমসেরের আইন উপদেষ্টা। অভিযানের সময় কাদেরের নামে দেওয়া মুসার ২০ কোটি টাকার একটি চেক পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মশিউর রহমান জানান। এছাড়া মুসার স্ত্রীর সঙ্গে কাদেরের একটি বিষয়ে চুক্তি হয়েছে জানিয়ে ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা তাদের দু’জনের সঙ্গে সার্বিক এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই।