সিলেট-লন্ডন ফ্লাইটে যাত্রীদের হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল

বিমানের একটি ফ্লাইটের কয়েকজন যাত্রী মারামারির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, ওই ঘটনা ঘটেছে গত ২৫ মে সিলেট থেকে লন্ডনগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে। একজন যাত্রীর পায়ের সঙ্গে অন্য একজন যাত্রীর পা লাগাকে কেন্দ্র করেই এই মারামারির সূত্রপাত। আর এ কারণে সেই ফ্লাইটের ৭ যাত্রীকে হিথ্রো বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন বিমানের কর্মীরা।
ঢাকা ছাড়াও সিলেট থেকে সরাসরি লন্ডনে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। তবে সিলেট-লন্ডন কিংবা লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট নিয়ে আতঙ্কে থাকেন বিমানের ক্রুরা। বিভিন্ন সময়ে এই রুটের যাত্রীদের নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে বিমানকে। টিকটক, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক যাত্রী সিটে বসা, কয়েকজন তাকে ঘিরে রেখে মারধর করছেন। আশেপাশের অন্য যাত্রীরা ঘটানাটি প্রত্যক্ষ করছেন।
সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ২৫ মে সিলেট থেকে লন্ডনগামী বিমানের ফ্লাইটে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সামনের সারির এক যাত্রীর পায়ে পা লেগে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। কেবিন ক্রুরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর অনুযায়ী ফ্লাইটটি অবতরণের পর হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৭ যাত্রীকে তাদের কাছে হস্তান্তর করেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিমানের বহরে যুক্ত হয় দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উড়োজাহাজ দুটির যাত্রা উদ্বোধন করেন। ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি নতুন উড়োজাহাজ দুটির একটি ড্রিমলাইনার সোনার তরী। এটি ম্যানচেস্টার থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেট হয়ে ঢাকায় এসেছিল। বিমানের তদন্তে উঠে আসে, সিটের সঙ্গে সংযুক্ত দুটি মনিটর জোর করে টেনে খুলে ফেলা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি বিজি ২০২ ফ্লাইট লন্ডন থেকে সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করে। সেই ফ্লাইটের এক যাত্রী ফ্লাইটে উঠে মাতলামি শুরু করেন। নারী কেবিন ক্রুদের উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন। তাকে শান্ত করার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হন ক্রুরা। উল্টো ক্রদে গালি দিতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে একজন ক্রুর আঙুলে কামড় দেন, প্লেট ছুড়ে মারেন। শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে ক্যাপ্টেনের নির্দেশে কেবিন ক্রুরা অন্য যাত্রীদের সহায়তায় সেই যাত্রীকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে দেশে এসে তাকে পুলিশের কাছে সৌপর্দ করা হয়।
বিমানের ক্ররা বলছেন, অনেক নারী কেবিন ক্রু সিলেট-লন্ডন ফ্লাইটে ডিউটি করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। এই ফ্লাইটের যাত্রীদের মধ্যে উগ্র আচরণের প্রবণতা সব চেয়ে বেশি। কেবিন নোংরা করে রেখে যান অনেকে। ক্রুদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।