মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন

সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি: বিআইএমের সেমিনারে বক্তারা

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ৭৩ বার
আপডেট : শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ ও পণ্যপরিবহণে রেল ও নৌপথ ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর সোবাহানবাগে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) কার্যালয়ে “ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি ২০২৪ এ্যান্ড ফিউচার অফ সাপ্লাই চেইন ফ্যাসিলিটাশন ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বিআইএম’এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির সভাপতি নকীব খান। প্রধান আলোচক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী সেল ও পিইপিজেড মহাপরিচালক শাহিদা সুলতানা। বিআইএম’এর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলর আকন্দ মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আরিফ জোবায়ের, ওয়াল্ড ব্যাংকের মোহাম্মদ লুতফুল্লাহ, আইইউবির অধ্যাপক ড. মামুন হাবিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাপ্লাই চেইন ফোরামের উদ্যোগে সাপ্লাই চেইন প্রফেশনালদের জন্য “স্কোর” নামে ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এই ম্যাগাজিনের মাধ্যমে সাপ্লাই চেইন প্রফেশনালরা উপকৃত হবে। বিআইএমের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই প্রোগ্রামে অ্যাসোসিয়েটেড পার্টনার ছিল বিআইবিএম সাপ্লাই চেইন ফোরাম।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী সেল ও পিইপিজেড মহাপরিচালক শাহিদা সুলতানা বলেন, বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশী বাজারের প্রচুর চাহিদা আছে। আমাদের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আছে। তবুও আমাদের বেকারের সংখ্যা বেশি। কোয়ালিটি কোনো সার্ভিস নেই। গ্যাপ আছে। বাইরে থেকে কাজের লোক নিয়ে নিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। দক্ষ মানবসম্পদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, আমাদের টোটাল সাপ্লাই চেনের মধ্যে একটি বড় গ্যাপ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান, ডিমান্ড, সাপ্লাই এই তিনটির মধ্যে সংযোগ করতে পারছি না। আমাদের সমস্যাটা আসলে কোথায়? এটা খুঁজে বের করতে হবে। যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তারাও হতাশার মধ্যে থাকে যারা কাজ করে তারাও সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষায় থাকে।
লজিস্টিক্স পলিসিতে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস জড়িত ছিল জানিয়ে শাহিদা সুলতানা বলেন, পলিসির ভাষাও বিজনেস ফ্রেন্ডলি করার চেষ্টা করেছি। যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী তারাও আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছ। বেসরকারি খাতের সরকারের কাছে কিছু চাওয়া পাওয়া থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, রেগুলেশনস যেগুলো হয় সেগুলো ইনকনজিসটেন্স থাকে। গতবছর যেগুলো দিয়েছি। সেগুলো থাকবে না। ট্যাক্স পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সমস্ত পরিকল্পনায় তার সমস্যা হয়ে যায়। এই কারণে আমাদের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে ভয় পায়।
বিআইএম মহাপরিচালক) মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, আজকে যে পলিসি নিয়ে কথা হয়েছে এই ডকুমেন্টসটা যে তৈরী হয়েছে সেটা কি নতুন কিছু। হ্যাঁ। সাধারণের মত চিন্তা করা কথা চমৎকারভাবে ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি করা হয়েছে। এই পলিসি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই পলিসির মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
নকীব খান মূল প্রবন্ধে বলেন, ২০৩০ সালে বিশ্বের নবম ভোক্তা বাজার হবে বাংলাদেশ। সেজন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে যদি আমরা উন্নত না হই তাহলে আমরা কিন্তু আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো না। বিশ্বের নতুন নতুন প্রযুক্তি আমাদের গ্রহণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু সরকারি খাতে নয়; বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে৷ যার ফলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শুধু সড়কপথে নয় পণ্য পরিবহনে রেল ও নৌপথ ব্যবহার করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, পৃথিবী অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সে তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। আমাদের এখানে নজর দিতে হবে। শুধু পোশাক শিল্প রপ্তানীতে ব্যস্ত না হয় আমাদের আরো বেশি বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানীতে মনযোগ দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশ মাত্র ১ বছরে লজিস্টিক্স পলিসি করেছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় দাবি করে তিনি বলেন, যেটা প্রতিবেশী দেশ ভারতের লেগেছে ৮ বছর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর