সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার : জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

তালেবান সরকার নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও আফগানিস্তানে অর্থ প্রবাহ বজায় রাখতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাগিদ দিয়ে বলেছে, তা না হলে দেশটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনিতেই মুদ্রা সংকট ও খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ নানাবিধ সংকটের মধ্যে রয়েছে। মুদ্রা সংকটে অনেক বেসরকারি ব্যাংকেই নগদ অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অর্থ সংকটের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না।
আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় এক হাজার কোটি ডলারের সম্পদ বর্তমানে বিদেশে আটকা পড়েছে। এসব সম্পদ আটকে রেখে দেশটির নতুন প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে জাতিসংঘের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত দেবোরাহ লিওন বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, দেশটিতে এসব অর্থ প্রবাহের একটি উপায় খুঁজে বের করা দরকার। না হলে দেশটির অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি সামাজিক শৃঙ্খলাও নষ্ট হতে পারে। জাতিসংঘ দূত বলেন, কয়েকটি মাস অর্থনীতিকে সচল থাকতে দিতে হবে, তালেবানকে নমনীয়তা প্রদর্শনের সুযোগ দিতে হবে তবে এবার নিশ্চিয়ই ভিন্নভাবে এগুলো করতে হবে। অর্থের অপব্যবহার ঠেকাতে তদারকির ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
আফগানিস্তানের সরকারি ব্যয়ের ৭৫ শতাংশই আসতো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি দাতাদের থেকে। তবে ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তানে মানবিক ত্রাণ দিতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা। তবে তালেবানের কর্মকাণ্ডের উপর দেশটির অর্থনীতি সচল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ ছাড় বা অন্যান্য পদক্ষেপগুলো নির্ভর করবে।