সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে রাজি সৌদি আরব

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সৌদি আরব। গতকাল রোববার সৌদি আরবের জেদ্দায় এক বৈঠকে এ সম্মতি দেয় সৌদি আরব। অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন সেদেশের হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার হাসান আল মানাখেরা এবং হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামি। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মসচির মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম, হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন প্রমুখ।
সমুদ্র পথে হজযাত্রী পাঠানো নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার প্রস্তাবে সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে সৌদি সরকারের কোন আপত্তি নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ছাড়া সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী হাজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি হালনাগাদ করার নিশ্চয়তা দেন। হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধিদের অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাক আশ্বস্ত করেন। সেইসঙ্গে রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।
এবছর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে অন্তত দুই হাজার হাজি পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৪ সালের মতো এজেন্সিপ্রতি দুইশত পঞ্চাশ জনের কোটা পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী সেটিও বিবেচনার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, আগামী হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সমুদ্রপথে জাহাজযোগে দুই-তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর পরিকল্পনা আছে সরকারের।