শ্রীলঙ্কার থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক বেশি দৃঢ়: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক মজবুত বলে মনে করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, দুই দেশের পরিস্থিতির মধ্যে কোনও মিল নেই। শ্রীলঙ্কার থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক বেশি দৃঢ়। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিদেশি ঋণের পরিমাণ সন্তোষজনক।
মঙ্গলবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশ কম পরিমাণ ঋণ নিয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকার যে ঋণ নেয়, সেটি অনেক কিছু বিবেচনা করে গ্রহণ করে। তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নেই। তবে শ্রীলঙ্কার সমস্যা এবং বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এক ধরনের নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, এখানে কোনও ছাড়া দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন এবং এ বিষয়ে আমরা প্রকাশ্যে এবং গোপনে বলে থাকি। বিপদের মধ্যেও পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং অন্যান্য আইন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা
গত ১০ ডিসেম্বর র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা দুটি জিনিস চাই; একটি হচ্ছে দায়বদ্ধতা ও আরেকটি সংস্কার।’ দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হলে অপরাধীরা পার পাবে না এবং সংস্কারের মাধ্যমে পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব বলে তিনি জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি এমন নয় যে আমরা একটি তালিকা দিলাম কী করতে হবে। সেটির থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওই দুটি নীতিকে সমুন্নত রাখা।’
নির্বাচন
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের সরকার, জনগণ, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, নির্বাচন কমিশন মিলে ঠিক করবে এ দেশে নির্বাচন কীভাবে হবে। আমি সম্প্রতি বাংলাদেশে অবাধ ও স্বাধীন নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছি।
বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অনেক সফলতা অর্জন করেছে এবং বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে উল্লেখ করে তিন মাস ধরে বাংলাদেশে কর্মরত থাকা পিটার হাস বলেন, ‘আমি শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে যাবো, কনসালটেশনের জন্য। সেখানে আমার বিভিন্ন জনের সঙ্গে বৈঠক হবে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, শ্রমাধিকারসহ আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধু এবং গত ৫০ বছর ধরে যে সহযোগিতা ছিল, সেটি সামনের ৫০ বছরও অব্যাহত থাকবে বলে জানান মার্কিন দূত।