বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সারাদেশে ২৬,১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে : নৌপ্রতিমন্ত্রী নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে চার মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকবে চীন : লিউ জিয়ানচাও অ্যাসাঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্য ছাড়লেন ট্যাক্সের আয়ের চেয়ে তামাকজনিত চিকিৎসা ব্যয় বেশি : ডা. আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের লজ্জার হার: সেমিতে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার বিদায় খেলোয়াড়রা নিজের কাজে সৎ ছিল, ক্ষমা চাইলেন শান্ত ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সাকলায়েন ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার: পরিমণি শেখ হাসিনা দেশকে বিক্রি করে না: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ারবাজারে ৫০ লাখের বেশি মূলধনী মুনাফাতে করের প্রস্তাব

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১২ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৫০ লাখ টাকার বেশি ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনী মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ করারোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও মূলধনী মুনাফা করারোপের গুঞ্জনে প্রায় এক মাস ধরে পতনের মধ্যে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাপিটাল গেইন করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। আর ৫০ লাখ টাকার বেশি ক্যাপিটাল গেইন হলে তার ওপর ১৫ শতাংশ কর ধার্য করার প্রস্তাব করেন। অর্থাৎ কোনও বিনিয়োগকারী ৬০ লাখ টাকা ক্যাপিটাল গেইন করলে, সেই ক্যাপিটাল গেইনের ৫০ লাখ টাকা করমুক্ত থাকবে। বাকি ১০ লাখ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনও বিনিয়োগকারী যদি কোনও শেয়ার একটানা পাঁচ বছর ধরে রেখে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করেন, সে ক্ষেত্রে ওই মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ হবে। এ ছাড়াও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীর বাইরে কোনও করপোরেট প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে যে মুনাফা করবে, সেই মুনাফার ওপর কর দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ক্যাপিটাল গেইন হলো শেয়ারবাজারে শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেনের মাধ্যমে করা মুনাফা। শেয়ারবাজারের মন্দা পরিস্থিতিতে বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন করারোপ না করার দাবি জানিয়েছিলেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে তাতে কর্ণপাত না করে বাড়তি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে ৫০ লাখ টাকার বেশি ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনী মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এদিকে বর্তমানে কোম্পানি করদাতার জন্য খাতভিত্তিক অনেকগুলো করহার কার্যকর রয়েছে। আয়কর আইনে সংজ্ঞায়িত কোম্পানিগুলোর মধ্যে যারা পাবলিকলি ট্রেডেড নয়, এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে করহার শর্তসাপেক্ষে ২৭.৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনীতিকে অধিকতর আনুষ্ঠানিক করা এবং এক ব্যক্তি কোম্পানির প্রতিষ্ঠা উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নন-লিস্টেড কোম্পানির মতোই শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার ২২.৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পরিশোধিত মূলধনের নির্দিষ্ট পরিমাণের অধিক শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার শর্তসাপেক্ষে ২২.৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন মন্ত্রী।
করপোরেট করহার কমানোর শর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে, সব আয় ও প্রাপ্তি এবং প্রত্যেক একক লেনদেনে পাঁচ লাখ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ লাখ টাকার বেশি সব ধরনের ব্যয় ও বিনিয়োগ অবশ্যই ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত করপোরেট করহার ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বহাল রাখারও প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর