বৃহস্পতিবার দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলেছেন বলে হোয়াইট হাউসের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ফোনালাপ নিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, দুই নেতা নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগে সম্মত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউস বলেছে, বাইডেন ও শি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘বিস্তৃত ও কৌশলগত আলোচনা’ করেছেন।তাদের আলোচনায় অর্থনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারী প্রাধান্য পেয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন এক মার্কিন কর্মকর্তা। ইন্দো-প্যাসিফিক ও বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের কথা তুলে ধরেন বাইডেন। প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে না গড়ায় তা নিশ্চিতে দুই দেশের দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন।
ফেব্রুয়ারিতে শি-বাইডেন ফোনালাপের পর দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে কালেভদ্রে বৈঠক হলেও সেগুলোতে মানবাধিকার, কোভিড-১৯ এর উৎস নিয়ে স্বচ্ছতাসহ নানান বিষয়ে থাকা মতপার্থক্য দূর হয়নি।
শি বাইডেনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীন নীতিই দুই দেশের সম্পর্কে ‘গুরুতর ঝামেলা’ বাধিয়ে রেখেছে। দুই পক্ষই যদি অপর পক্ষের ‘মূল উদ্বেগগুলোর’ প্রতি সম্মান দেখায়, তাহলে এখনও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্ষেত্রে কূটনৈতিক ‘ব্রেক থ্রু’ সম্ভব; এই ইস্যু দুই দেশের সম্পর্কে ‘ইতিবাচক ফ্যাক্টর’ যোগ করতে পারে।