লড়াই করে হারলো বাংলাদেশ

আড়াই বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে নেমে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তবে ম্যাচ হারলেও স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়াই করার চেষ্টা ছিল সাবিনা-কৃষ্ণাদের। প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে যায় নেপাল। বিরতির পর বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে এক গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বল দখলে স্বাগতিক নেপাল এগিয়ে ছিল শুরু থেকেই। আক্রমণও করেছে প্রচুর। বাংলাদেশকে চাপে রেখে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে ১৪ মিনিটে। বিমলা চৌধুরীর ফ্রি কিকে রুপনা চাকমার মাথার ওপর দিয়ে হেড করে জাল খুঁজে নেন সবিতা রানা। অবশ্য এই গোলে দায় আছে বাংলাদেশের গোলকিপারের। সবিতার সঙ্গে এক ডিফেন্ডার সেঁটে থাকলেও রুপনা পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এক ছুটে খুব কাছাকাছি গিয়ে লাফিয়ে উঠলেও সবিতার হেডের নাগাল পাননি।
পাঁচ মিনিট পর অবশ্য সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে নিখুঁত ক্রস বাড়িয়েছিলেন সাবিনা খাতুন। তাতে কৃষ্ণা রানী সরকার সাইড ভলিও করেছিলেন, কিন্তু গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। বল চলে যায় পোস্টের বাইরে। ২২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হওয়া গোলের ক্ষেত্রেও ভুল ছিল রুপনার। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের নিখুঁত থ্রু পাস ধরে কোনাকুনি শটে এগিয়ে আসা গোলকিপারকে পরাস্ত করেন প্রিতি রায়। ৩৪ মিনিটেও ম্যাচে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। সাবিনার ডিফেন্স চেরা পাস ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েও পোস্টের বাইরে শট নেন স্বপ্না! এরপরেও দুই গোলে পিছিয়ে বিরতির পর বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করতে থাকে। তাতে সফলতা আসে ৮৩ মিনিটে। বদলি তহুরা খাতুন বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। তার নেওয়া শট এক ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। পরে আর ব্যবধানে হেরফের করতে না পারায় ২-১ স্কোরলাইন রেখেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলকে। একই দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি হবে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।