লেনদেনের সীমা বাড়ল বিকাশ-নগদ-রকেটে

বিকাশ, নগদ ও রকেটসহ মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) কোম্পানির মাধ্যমে লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারের তথ্য বলছে, গ্রাহক থেকে গ্রাহকের ক্ষেত্রে দৈনিক এ লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে লেনদেনের সীমাও কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে পরিচালক (পিএসডি) রাফেজা আক্তার কান্তার সইয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। তবে সার্কুলারে এ-ও বলা হয়েছে, এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ঝুঁকি বিবেচনায় যেকোনো লেনদেনের সীমা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারের তুলনায় কম নির্ধারণ করতে পারবে।
সার্কুলার অনুযায়ী কোনো গ্রাহক তার পারসোনাল নম্বর (এমএফএস অ্যাকাউন্ট) থেকে অন্য কোনো গ্রাহকের পারসোনাল নম্বরে (পিটুপি) দিনে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে পারবেন, যা আগে ছিল সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা। এ ধরনের লেনদেনের নতুন মাসিক সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা, যা আগে ছিল দুই লাখ টাকা।
আগে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করার সুযোগ ছিল। নতুন সার্কুলারের ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক দিনে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করাতে পারবেন। এ ধরনের লেনদেনের মাসিক সীমা দুই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।
এজেন্ট পয়েন্ট ক্যাশ আউটের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। এখন একজন গ্রাহক দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন এজেন্টের কাছ থেকে, যা আগে ছিল ২৫ হাজার টাকা। ক্যাশ আউটের মাসিক সীমাও দেড় লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে।
তবে ব্যাংক হিসাব ও কার্ড ব্যবহার করে এমএফএস অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউটের দৈনিক ও মাসিক সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এই দুটি লেনদের সর্বোচ্চ পরিমাণ যথাক্রমে ৫০ হাজার টাকা ও তিন লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রাহকরা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি মোবাইল আর্থিক সেবায় লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাদের দিক থেকেই লেনদেনের এসব সীমা বাড়ানোর দাবি ছিল। সার্বিক বিবেচনায় এই সীমা বাড়ানো হয়েছে।