সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে: প্রধানমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১০৬ বার
আপডেট : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের অনেকে মাদক-নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত।

রোববার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস (Lilly Nicholls) কে সৌজন্য সাক্ষাত প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ দশমিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘদিনের সমস্যা। এত বড় বোঝা বাংলাদেশ কতদিন বহন করবে। বাংলাদেশ সরকার ভাষানচরে ১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে সাময়িক আশ্রয় দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে তারা অধিকতর ভালো আশ্রয় পাবে।কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, কানাডা বাংলাদেশকে সব সময় সহায়তা করবে। তিনি জানান, তার দেশ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অতিরিক্ত একটি তহবিল সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রশংসা করেন তিনি। এসময় তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে আলোচনা করেন এবং যুদ্ধ সব সময় জনগণের ভোগান্তির কারণ এ বিষয়ে একমত হন।

বাংলাদেশে দারিদ্র হ্রাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত। দুই জনেই বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কানাডা থেকে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পাওয়ার প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে দায়িত্বপালনকালে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে কানাডা বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে। কানাডার সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। অনুদান হিসেবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং সরঞ্জাম দেওয়ায় কানাডার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর