রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাচ্ছে গণফোরাম, সিপিবির ‘না’

নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপে অংশগ্রহণ করবে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। তবে এজেন্ডা পুরনো হওয়ায় এই সংলাপে যাবে না বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দল দুটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি। ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছেন। আরও ১০টি দলের সঙ্গে সংলাপের শিডিউল করা হয়েছে। এরমধ্যে বাসদের সঙ্গে আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সংলাপের সময় নির্ধারিত থাকলেও দলটি এতে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি গণফোরাম ও বিকল্প ধারা এবং ৩ জানুয়ারি সিপিবি ও গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের শিডিউল করা আছে।
গণফোরামের ‘হ্যাঁ’
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সংলাপে আমরা যাবো। আমি যাবো। দলের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান এমপি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তারা সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও পরামর্শ আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরবো। না গেলে কীভাবে জানাবো, আমরা কী চাই। সংলাপে না গেলে আমাদের বক্তব্য আমরা জানাবো কী করে।
সিপিবির ‘না’
আগামী ৩ জানুয়ারি সিপিবির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের সময় নির্ধারণ হয়েছে। সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সংলাপের বিষয়বস্তু তো নতুন না। আমরা ২০১৬ সালেই প্রস্তাব দিয়েছি। যে এজেন্ডা গতবার ছিল, এবারও তা-ই। তাই নতুন করে আর এ বিষয়টি আসে না।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বরং রাষ্ট্রপতি সংসদের কাছে চিঠি পাঠাতে পারেন এক মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করতে। স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে, এখনও নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনও আইন করা যায়নি।