মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে জেলেনস্কিকে মোদির তাগিদ

রিপোর্টার / ১১ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) কিয়েভে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। যুদ্ধকালে প্রথমবার মোদির কিয়েভ সফরে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের সময় মোদি এই আহ্বান জানান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর এটিই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফর। এই সফর এমন সময় অনুষ্ঠিত হলো যখন রাশিয়া ধীরগতিতে পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে এবং কিয়েভ সীমান্ত পেরিয়ে রুশ ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।
মস্কোতে গত মাসে মোদির সফরকে কিয়েভের পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হলেও মোদি ইউক্রেনে শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শিগগিরই আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মোদি বলেন, সমাধানের পথ শুধু সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমেই পাওয়া যেতে পারে। আমাদের সেই দিকেই এগোতে হবে এবং সময় নষ্ট না করে এ বিষয়ে কাজ শুরু করতে হবে। দুই পক্ষকে একসঙ্গে বসে এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার যেকোনও প্রচেষ্টায় ভারত সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনও ভূমিকা রাখতে পারলে, বন্ধুর মতো তা করব।
যৌথ বিবৃতিতে দুই নেতাই এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন। জেলেনস্কির পরে মোদি বক্তব্য রাখেন। ফলে জেলেনস্কির পক্ষে আলোচনার আহ্বানের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ ছিল না। তবে জেলেনস্কি তার বক্তব্যে বলেছিলেন, যুদ্ধের সমাপ্তি এবং ন্যায়সংগত শান্তি প্রতিষ্ঠাই ইউক্রেনের অগ্রাধিকার।
ইউক্রেন বারবার বলেছে, তারা যুদ্ধের অবসান চায়। তবে তা কিয়েভের শর্তে, রাশিয়ার নয়। ইউক্রেন এই বছরের শেষ দিকে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য চাপ দিচ্ছে। সম্ভাব্য ওই সম্মেলনে তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার ধারণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রথম শান্তি সম্মেলনটি জুন মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে রাশিয়াকে বাদ দিয়ে অন্যান্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। এতে ভারতের প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন অনুপস্থিত ছিল।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সোমবার বলেছিলেন, ইউক্রেন পশ্চিম রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণ চালানোর পর আলোচনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেন ৬ আগস্ট কুরস্ক অঞ্চলে একটি আক্রমণ অভিযান শুরু করে। তারা প্রায় ১০০টি বসতি বা গ্রাম দখলের দাবি করেছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পূর্ব ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা সরাতে ইউক্রেনের একটি কৌশল হতে পারে।
এদিকে মস্কোর বাহিনী পূর্বাঞ্চলে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলীয় পোক্রোভস্কসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রুশ দখলে যাওয়ার হুমকির মধ্যে রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর