সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন

রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে কমিটি

রিপোর্টার / ১৪ বার
আপডেট : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নানা কারণে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশের লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সভাপতি করে জেলা পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। সদস্যরা হলেন- পুলিশ সুপার, মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), পাবলিক প্রসিকিউটর, মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি হবে- রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে। আবেদন প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর, ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে মতামতের জন্য পাঠাবেন। আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর, ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠাবেন।
পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিটসহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংযুক্ত ‘ছক’ অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), যুগ্ম-সচিব (আইন), আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যিনি যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়), উপসচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, সহকারী সচিব, আইন-১ শাখা, জননিরাপত্তা বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি থাকবেন এই কমিটিতে।
জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো ‘দ্য ক্রিমিনাল ল অ্যামেনডমেন্ট অ্যাক্ট’, ১৯৫৮-এর ১০ (৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। যে কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এসব মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর