শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৪৫ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিরাপত্তা জোরদার করছে। তাই আগামীকাল (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকার বেশ কয়েকটি সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ডিএমপি’র গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী ও বারিধারা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে হবে নির্ধারিত রাস্তা। ইংরেজি নববর্ষ-২০২২ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে ডিএমপি। যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।

বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক

৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহন নিয়ে প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা (ফিনিক্স রোড ক্রসিং), বনানী ১১ নম্বর রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, ঢাকা গেট, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা (ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং) এবং নতুন বাজার ক্রসিং এলাকা ব্যবহার করা যাবে না। তবে এসব এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে ক্রসিংগুলো ব্যবহার করা যাবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতিত অন্য যেকোনও ব্যক্তি/যানবাহন কেবল পুরনো হাইকোর্ট, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হলের দক্ষিণ ফটক এবং পলাশী মোড় ব্যবহার করতে পারবে। ঢাবি এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্য সব ক্রসিং বন্ধ থাকবে। রাত ৮টা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, বক্শী বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং এবং চাঁনখারপুল/শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনও যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ বেপরোয়া, মদ্যপ ও বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালালে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সড়ক ব্যবহার সংক্রান্ত যেকোনও জরুরি প্রয়োজনের জন্য ফোন নম্বর: ডিসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০০৪৪৩৬০, এডিসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০০৪৪৩৬১, এসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০০৪৪৩৭২, এসি ট্রাফিক (মহাখালী) ০১৩২০০৪৪৩৭৫, এসি ট্রাফিক (বাড্ডা) ০১৩২০০৪৪৩৭৮, ডিসি ট্রাফিক (রমনা) ০১৩২০০৪২২৬০, এডিসি ট্রাফিক (রমনা) ০১৩২০০৪২২৬১, ডিসি (গুলশান) ০১৩২০০৪১৪২০ এবং ডিসি (রমনা) ০১৩২০০৩৯৪৪০।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর