যুক্তরাজ্যের নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। এ দিন কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারপারসন স্যার গ্রাহাম ব্রাডি ঘোষণা করেন, দলের নতুন নেতা নির্বাচনে শুধু সুনাকের মনোনয়নপত্র পেয়েছেন তাঁরা। সে কারণে তাঁকে নতুন দলীয় প্রধান ঘোষণা করা হলো। সোমবার (২৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
উল্লেখ্য, কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটি দলের নেতা নির্বাচন করে। যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হন। গত বৃহস্পতিবার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ঋষি সুনাকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেনি মর্ডান্ট তাদের কাছে যান। এ সময় ঋষি সুনাককে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করেন। ঋষিকে অত্যন্ত ভালো বলে অভিহিত করেন পেনি।
এর আগে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন সাবেক ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। পোস্টে তিনি লেখেন, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সীমিত সময়সীমা সত্ত্বেও এটি পরিষ্কার- সহকর্মীরা মনে করেন আজ আমাদের নিশ্চয়তা দরকার। তারা দেশের ভালোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঋষির প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। আমার প্রতি যারা প্রচারণা চালিয়েছেন তাদের জন্য আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।
ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সমর্থন জোগাড় করেছেন ঋষি। তার নেতৃত্বে যাওয়ার পথ মসৃণ হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরে যাওয়ার কারণে। ঋষিকে সমর্থন দিয়েছিলেন ১৫৫ জন সদস্য। পেনি পেয়েছিলেন ৯০ জনের। এখন যেহেতু তিনি নিজেই ঋষিকে সমর্থন দিয়েছেন, বলা চলে কনজারভেটিভ ৩৫৭ সদস্যর সবার সমর্থন পেলেন তিনি। সে হিসেবে বিনা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সূত্র: বিবিসি