
মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। ছবি: রয়টার্স
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের উদ্বেগের মধ্যে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।গত ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। রোহিঙ্গারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর; কয়েকজন শরণার্থীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মোমেন বলেন, একজন লোক মারা পড়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিয়েছি। তিনজন ধরা পড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। তারও ধারণা, মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারে ফিরে যেতে ‘লেজিটিমেটলি আন্দোলন’ করেছিলেন, কারও তা হয়ত পছন্দ হয়নি বলে তাকে খুন করা হয়েছে।এমনিতে যারা আছে, রোহিঙ্গাদের আমরা পুরোপুরি প্রটেকশন দিচ্ছি। প্রটেকশনের পরিমাণ আরও বেড়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে অবৈধ অস্ত্র, চোরাচালান ও মাদক কারবার রোধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্ডারগুলো (টাইটেনড) নিশ্ছিদ্র করছি, যাতে কোনো ধরনের অবৈধ অস্ত্র, মানব পাচার, মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধ না ঘটে। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অস্ত্র আসার তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য এসেছে (মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে) এদিকে কিছু অবৈধ অস্ত্র আসছে। মন্ত্রণালয় শক্ত অবস্থান নিচ্ছে, সীমান্তে কোনো বিশৃঙ্খলা হতে দেবে না। অবশ্যই আমরা শক্ত অবস্থানে যাব। যদি এ ধরনের দুর্ঘটনা হয়, নিশ্চয়ই আমরা বসে থাকব না। প্রয়োজনে যা যা দরকার, সেটা আমরা করব।