মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি বুধবার

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে শুনানি আগামীকাল বুধবার।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ আবেদন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষে নয়। দুইজন আবেদনকারী আবেদন করেছেন। আরো একজন আবেদনকারী হিসেবে যুক্ত হবেন। আবেদনকারীদের বক্তব্য হচ্ছে- একদিকে আন্দোলন হচ্ছে, অন্যদিকে হাইকোর্টের রায় হয়েছে, তাই এর একটি জাস্টিফিকেশন হওয়া দরকার। আমরা আপাতত রায়টা স্থগিত চাইছি। আমরা চাই এই বিষয়টির একটি সম্মানজনক সমাধান হোক। আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেব। চেম্বার আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বুধবার শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন।
গত ৯ জুন সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
তবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি মামলার শুনানি মুলতবি রেখেছেন আদালত। গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে, না কি বাতিল হবে এ বিষয়ে আপিল বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত ৯ জুন সকালে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।