অন্তর্বর্তী সরকার উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে জাতির সামনে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে দলীয় কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে মির্জা ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, তারা কোনো কার্যকর ভূমিকা রেখেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবশ্যই রাখছে। কারণ অন্তর্বর্তী সরকার অনেকগুলো কাজ করেছে, কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের যদি আমরা সবাই সহযোগিতা করি এবং উপযুক্ত সময়ে একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে তারা নির্বাচন দিতে সক্ষম হয়, তাহলে এই জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় ষড়যন্ত্র, অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। প্রায় ৭০০ মানুষকে গুম করেছে। এরা হাজার হাজার মানুষকে গুম-খুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়, ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করা হয়। আজ আমরা শপথ নিয়েছি, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। এর জন্য প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলব।