শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বিমানের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, ওই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-২২ ওমানের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভারতের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি।
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আকাশে থাকা অবস্থায় পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার সহকারী জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিমানটি নাগপুরে বাবাসাহেব আম্বেদকর বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। তার বয়স ৪৫ বছরের বেশি।
“ভারতে নামার পর তার এনজিওগ্রাম হয়েছে। তিনি এখন ঝুঁকিমুক্ত রয়েছেন। আমরা সার্বক্ষণিক তার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর রাখছি।”
ফেইসবুক গ্রুপ বিডিএভিয়েশন হাব জানিয়েছে, একটি অ্যাম্বুলেন্স রানওয়েতে অপেক্ষায় ছিল। বিমান নামার পরপরই পাইলটকে নিয়ে সেটি নাগপুরের হোপ হসপিটালে যায়।
তবে ক্যাপ্টেন নওশাদের ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছিল কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেননি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পাইলট অসুস্থ বোধ করায় ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করেছে। তার চিকিৎসা চলছে। যাত্রীরা টার্মিনালে রয়েছেন। তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা বিষয়টি সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখছেন।”
মোস্তফা কামাল জানান, “বিমানের একটি ফ্লাইট দুবাই যাচ্ছে। ওই ফ্লাইটে করে কয়েকজন ক্রু যাবেন নাগপুরে। তারা মাস্কাটের ফ্লাইট আর যাত্রীদের আজই ঢাকায় নিয়ে আসতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি।”