মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা নীতিগত সিদ্ধান্ত, আইনি নয়: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনি কোনও বিষয় নেই। এ সময় প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, তারা নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?
রবিবার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিতে রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচন বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এমন ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনও সংঘাতে নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনের মতো একই রকম নির্মম আচরণ করা হচ্ছে এখন। তারা আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না?
মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই, এমন কথা তো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের চাপ তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।