তবে ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হতে পারে জানিয়ে হাইতির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি বলছে, নিম্নচাপের কারণে সোমবার ভারি বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়তে পারে।
ছবি: রয়টার্স
সিভিল প্রটেকশন এজেন্সির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছি এজেন্সি।
ছবি: রয়টার্স
গত শনিবার সকালে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্যারিবিয় দেশটির বহু বাড়িঘর, ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাটিতে মিশে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেক হাইতিয়ান খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।হাইতির দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ এখানকার লেস কেয়িস শহর ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ছবি: রয়টার্স
আর উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেরেমিয়া শহরে। এখানকার স্বাস্থসেবা কেন্দ্রগুলোতে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় রাস্তায় বিছানা কিংবা গাছের নিচে স্ট্রেচারে পেতে আহতদের চিকিৎসা দিয়ে যাচসিভিল প্রটেকশন এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে অনেক গির্জা, হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত নয়ত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় সাড়ে ১৩ হাজারের মতো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ছবি: রয়টার্স
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লেস কেয়িস শহর পরিদর্শন করেছেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি।এদিকে পোর্ট অব প্রিন্স বিমানবন্দর থেকে বিপুলসংখ্যক সাহায্যকর্মী, চিকিৎসক এবং উদ্ধারকর্মী লেস কেয়িসের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।