‘ভাতের হোটেল’, নিয়ে ডিবিপ্রধান হারুন

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ মূলত বেশকিছু দিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ডিবি কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ডিবিপ্রধান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়ার। অনেকেই মনে করতে পারেন, ডিবি কার্যালয় একটা ভাতের হোটেল। এতে আমরা ডিমরালাইজড বা হতাশ হবো না। এটা আমাদের মানবিক দিক। আমাদের কাছে অনেক ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ আসে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করি। অনেক সময় বিকেল হয়ে গেলে আমাদের অফিসাররা মানবিকভাবে তাদের নাশতা কিংবা ভাত খেতে বলেন। এটা আমাদের মানবিকতা।
এর আগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবুল হাসান চৌধুরীকে রাজধানীর হাতিরপুল এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এ বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশকে দুর্বল মনে করে কোনো অস্ত্র কারবারি, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী বা সন্ত্রাসী ঢাকা শহরে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াবে আর আমাদের ডিবির টিম বসে থাকবে, তা হতে পারে না। আমাদের আইনগত প্রক্রিয়ায় যা যা করা দরকার আমরা তা করবো। ডিবি কাউকে ভয় পায় না বলেও জানান তিনি।
হারুন অর রশীদ জানান, কিছুদিন আগেও গুলশান শাখা নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে। তারই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা এলাকা থেকে হাসানকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবিপ্রধান বলেন, ছাত্রদলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা এখন পর্যন্ত ১১টি অস্ত্র এনেছে। এরমধ্যে চারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের এই অস্ত্র আনার পেছনের মোটিভ জানতে পেরেছি, প্রমাণ পেয়েছি। দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারাসহ কে কে জড়িত সেটিও জানা গেছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে, অস্ত্র কারবারিরা যে দলেরই হোক না কেন, আমাদের ডিবি পুলিশের প্রতিটি টিম আইনগত প্রক্রিয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর।