শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সোম-মঙ্গলবার ঢাকায়, অন্যান্য দিন সারা দেশে পরিদর্শন করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিশার রহস্যময় প্রেম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন না বাইডেন ব্রিটেনে আজ ভোট, রেকর্ড জয়ের পথে লেবার পার্টি জলবায়ু পরিবর্তন: চীনে অত্যধিক গরম ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহের সতর্কতা যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু ১২ বছর বয়সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে সেই বাংলাদেশি বিস্ময় বালক ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পক্ষে ভোট, ক্ষমতাসীন দল থেকে পদত্যাগ অস্ট্রেলীয় সিনেটর ফাতিমার ছবিতে ভোটকেন্দ্রে হাসি মুখে লেবার পার্টির নেতারা ১১ মার্কিন কর্মকর্তার ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা

ব্রিটিশ নির্বাচন: উচ্ছ্বসিত প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া অভিবাসীরা

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪

ব্রিটিশ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া প্রথেশ পানজাক এবং অপর অভিবাসীরা আশাবাদী, তাদের ভোট পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। ৪ জুলাইয়ের ভোটে অংশগ্রহণের জন্য তাই উৎসাহী এসব অভিবাসীরা।
এবারের নির্বাচনে বিরোধী দল লেবার পার্টি ভূমিধস জয় পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ দলের শাসনের অবসান হতে পারে।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো মূলত–নাইজেরিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়ার মতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাবেক ভূখণ্ডের– শরণার্থী ও অভিবাসী¬রা ভোটদানে যোগ্য।
২৭ বছর বয়সী পানজাক গত বছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে এসেছেন। তিনি তার নিজ দেশ ভারতের নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় হতাশ ছিলেন। কিন্তু এবার ভোট দিতে পারার সুযোগ পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। তার কথায়, আমার দেশে, অন্য দেশের মানুষদের ভোট দেওয়ার অনুমতি নেই। আমি এখানে স্টুডেন্ট ভিসায় এসেছি, কিন্তু তারা আমাদের ব্রিটিশ নাগরিকদের মতো ভোটদানের সুযোগ দিচ্ছে। উত্তরপশ্চিম ইংল্যান্ডে ম্যানচেস্টারে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ট-টাইম অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন পানজাক।
সালফোর্ডের ৩৩ বছর বয়সী মালয়েশীয় ছাত্র তেহ ওয়েন সান ম্যানচেস্টারের কাছাকাছি বসবাস করছেন। তিনি বলেন, দুই প্রধান দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য দেখেন না তিনি, তবে অভিবাসীদের প্রতি যে দল বেশি গ্রহণযোগ্য সেই দলকে ভোট দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাজ্যে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি ইস্যু। কনজারভেটিভরা জিতলে সুনাক নেট অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কারণ অনেক ব্রিটিশ ভোটার মনে করছেন এটি অত্যধিক এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন, এবং শিক্ষার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সুনাক ভিসা নিয়ম কঠোর করেছেন এবং আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর একটি নীতির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়েছেন।
ম্যানচেস্টারের ৩১ বছর বয়সী সাপোর্ট কর্মী ওয়িংকানসোলা ডিরিসু ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে এসেছেন। তিনি লেবার পার্টির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ। তিনি চান যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তাদের মতো মানুষের যুক্তরাজ্যে স্থানান্তর যেন সহজ করে।
অন্যরা যেমন নাইজেরিয়া থেকে গত সেপ্টেম্বর আসা ২৬ বছর বয়সী এসথার অফেম এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। তার কথায়, কোনও দলই আমার আগ্রহের জায়গাগুলোতে তেমন কিছু করেনি। তবে বর্তমানে আমি সম্ভবত কনজারভেটিভদের ভোট দেব। তবে আমি এখনও নিশ্চিত নই।
ব্রিটিশ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া প্রথেশ পানজাক এবং অপর অভিবাসীরা আশাবাদী, তাদের ভোট পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। ৪ জুলাইয়ের ভোটে অংশগ্রহণের জন্য তাই উৎসাহী এসব অভিবাসীরা।
এবারের নির্বাচনে বিরোধী দল লেবার পার্টি ভূমিধস জয় পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ দলের শাসনের অবসান হতে পারে।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো মূলত–নাইজেরিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়ার মতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাবেক ভূখণ্ডের– শরণার্থী ও অভিবাসী¬রা ভোটদানে যোগ্য। সূত্র: রয়টার্স


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর