ব্যাটারদের দাপটে জয়ে সুপার এইট শুরু ইংল্যান্ডের

গ্রুপ পর্বেই ছিটকে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছিল ইংল্যান্ডের। তার পর কোনও রকমে নানা হিসেব নিকেশ বদলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন জীবন পায় তারা। সুপার এইটে তার ঝলকও দেখা গেলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবিয়ানদের ৮ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইট শুরু করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতে ৪ উইকেটে ১৮০ রানে রুখে দিতে পেরেছিল বাটলারের দল। তার পর ফিল সল্টের ৪৭ বলের বিস্ফোরক ৮৭* রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ১৫ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য টপকেছে ইংল্যান্ড। সল্টের ম্যাচসেরা ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৫টি ছয়ের মার।
সেন্ট লুসিয়ায় অবশেষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মতো নৈপুণ্য দেখিয়েছে ইংলিশ দল। বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই ক্যারিবিয়ানদের ওপর চড়াও হয় ইংল্যান্ড। ৭.৪ ওভারে বাটলার ২২ বলে ২৫ রানে ফিরলে ভাঙে ৬৭ রানের ওপেনিং জুটি। দ্রুত মঈন আলীও ১৩ রানে আউট হয়েছেন। তখন ফিল সল্ট মাঠে থাকলেও খেলছিলেন ধীর গতিতে। প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা এই ব্যাটার পরে আক্রমণে ধার বাড়িয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। রোমারিও শেফার্ডের ১৬তম ওভারেই তাণ্ডব চালান তিনি। তিন চার ও ৩ ছক্কায় নেন ৩০ রান। শুরু থেকে আক্রমাণাত্মক থাকা জনি বেয়ারস্টোও অবদান রাখেন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। ২৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। দুজনের জুটিতে যোগ হয়েছে ৯৭ রান। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও রোস্টন চেজ।
শুরুতে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাটলার। তার পর ভালোই খেলছিল স্বাগতিকরা। রিটায়ার্ড হার্ট ব্র্যান্ডন কিংকে হারিয়ে ৭২ রান তুলে ফেলেছিল। তার পর বোলারদের দারুণ নৈপুণ্য রুখে দিতে থাকে ব্যাটারদের। টিকে খেলতে থাকা জনসন চার্লসকে (৩৮) ফিরিয়ে ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন মঈন আলী। সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক রোভম্যান পাওয়েল নিজেকে প্রমোট করে ফল পাচ্ছিলেন। লিয়াম লিভিংস্টোনের ১৫তম ওভারেই ২০ রান নেন তিনি। কিন্তু একই ওভারে আগ্রাসী হওয়ার মাশুল দিয়েছেন ১৭ বলে ৩৬ রানে ক্যাচ দিয়ে। তার ইনিংসে ছিল ৫ ছক্কা। নিকোলাস পুরানকেও ইনিংস বড় করতে দেননি আর্চার। ৩২ বলে এই উইকেটকিপার ব্যাটার ৩৬ রানে আউট হয়েছেন। শেষ দিকে শেরফানে রাদারফোর্ড ১৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেললে ৫ উইকেটে ১৮০ রান পর্যন্ত গেছে দলটির স্কোর।
ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন।