শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান যথার্থ: তথ্যমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৩১৯ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যথার্থই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। ফ্রান্সসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। সমালোচকদের অনুরোধ জানাবো, তারাও যাতে এ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা বলেন।

সমালোচকদের বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীব্যাপী জ্বালানি সংকট শুরু হয়েছে। জ্বালানি ও পরিবহন মূল্য দুটিই অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ায় লাখ লাখ পরিবারকে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য। সেখানে কোনও অঙ্গরাজ্যে ১০ ঘণ্টা, কোনও অঙ্গরাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। ইউরোপে, যেখানে কোনও সময় বিদ্যুৎ যায় না, সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে। জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্সের মতো দেশেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য বলা হয়েছে।

ড. হাছান বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ খাত মূলত জ্বালানিনির্ভর। কয়লাভিত্তিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি উৎপাদনে আসেনি। সে কারণে সরকার গত বছর বিদ্যুৎ খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং জ্বালানি খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। এরপরও উন্নয়নশীল বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, হ্যারিকেন এখন সাজিয়ে রাখার বিষয়, কারণ হ্যারিকেনের ব্যবহার নেই। সরকার গঠন করার আগে দেশে ৪০ শতাংশের কম মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো। আজকে শতভাগ মানুষের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। কিন্তু দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও সেটি সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার আহ্বান কোনোভাবেই ভুল নয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানের পর যারা সমালোচনা করছেন সেই বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য, আপনারা কী করেছিলেন? মানুষ যখন বিদ্যুতের দাবি দিয়েছিল তখন গুলি করে মানুষকে হত্যা করেছেন। তিনি বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন, কারণে-অকারণে সমালোচনা করেন, পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে আপনাদের একসময়ের সমালোচনা এখন আপনাদেরই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এই ক্ষেত্রেও অহেতুক সমালোচনা করবেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর