আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য গতকাল পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে উকিল আবদুস সাত্তারের পদত্যাগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, জি এম সিরাজের পদত্যাগে বগুড়া-৬, আমিনুল ইসলামের পদত্যাগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, জাহিদুর রহমানের পদত্যাগে ঠাকুরগাঁও-৩, মোশাররফ হোসেনের পদত্যাগে বগুড়া-৪ ও রুমিন ফারহানার পদত্যাগে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এসব আসনে উপনির্বাচন করতে হবে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন ইসি সচিবালয় পেয়েছে। সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। তবে কমিশন তত দিন অপেক্ষা করবে না। যেহেতু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এক বছরের একটু বেশি সময় আছে, তাই ৯০ দিনের আগেই উপনির্বাচন দেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, বাছাই, প্রত্যাহার, প্রচার—এসবের জন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় দিতে হয়। এই সময় দিয়ে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার হয়তো নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে বসবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগেই ছয়জন সংসদ সদস্যের পদত্যাগ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা কোনো প্রেশার অনুভব করছি না। আমাদের কাজ হলো রেফারির। আমরা মাঠ প্রস্তুত রাখব, গ্যালারি প্রস্তুত রাখব। সবকিছু প্রস্তুত রাখব, প্লেয়াররা খেলতে আসবেন।