বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজ জেতার জন্য মাঠে নামবে তার দল: শান্ত

ভারতে বাংলাদেশ দলকে বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়। আগের তিন টেস্টেই হেরেছে বড় ব্যবধানে। সর্বশেষ খেলা দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হার ছিল সঙ্গী। এবারও সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। যদিও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস। দেশ ছাড়ার আগে রবিবার বিমানবন্দরে জানিয়ে গেছেন, দুই টেস্টেই জেতার জন্য মাঠে নামবে তার দল।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের নাজমুল বলেছেন, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হতে যাচ্ছে। তবে একটা ভালো সিরিজের পর অবশ্যই একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দলের ভেতর আছে, দেশের মানুষের মধ্যেও আছে। প্রত্যেক সিরিজ একটা সুযোগ। আমরা দুইটা ম্যাচ জেতার জন্য খেলবো। জেতার জন্য যে জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ…আমাদের লক্ষ্য থাকবে কাজটা ঠিকঠাক করতে পারছি কিনা। কাজ ঠিকমতো করতে পারলে ভালো ফল সম্ভব। তবে সেটা চ্যালেঞ্জিং।
ভারতে আগের টেস্টগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। কোন টেস্টেই তারা ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তবে এবার শান্তরা আত্মবিশ্বাসী। ব্যর্থতা ভুলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশ দল সাফল্য তুলে নিতে প্রস্তুত। অধিনায়ক শান্ত জানিয়েছেন, একটু আগে যেটা বললাম সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে। যদি র্যাঙ্কিং দেখেন ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। সম্প্রতি আমরা ভালো খেলছি। ভালো সিরিজ পার করে এসেছি। লক্ষ্য হবে কীভাবে পাঁচদিন ভালো খেলতে পারি। ফলটা শেষ দিনে লাস্ট সেশনে গিয়ে হয়। ম্যাচটা শেষ সেশন পর্যন্ত নিতে পারলে যে কোনও কিছু সম্ভব।
ঐতিহ্যগত ভাবেই চেন্নাই স্পিনারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। স্লো মিডিয়াম বোলারদের সাফল্য এখানে বেশি। তবে সম্প্রতি খবর আসছে যে, প্রথম টেস্টের ভেন্যু চেন্নাইয়ের উইকেট নাকি বদলে ফেলা হচ্ছে। চিরাচরিত স্পিন উইকেটের বদলে সেখানে নাকি পেস উইকেট তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য খুব বেশি চিন্তিত নন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘উনারা (ভারত) কী চিন্তা করছে এটা তো বলতে পারবো না। কিন্তু আমাদের স্পিন ও পেস ভালো একটা অবস্থানে আছে। ওই দলের সঙ্গে যদি তুলনা করেন অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের পেসাররা ওদের থেকে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। স্পিন ওয়াইজ হয়তো কাছাকাছি আছে। অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওই দলকে এগিয়ে রাখবো। স্পিনারদের দিক থেকে কাছাকাছি আছে। যেহেতু যেকোনও কন্ডিশনে আমাদের স্পিনারদের বল করার অভিজ্ঞতা আছে। আমি এটুকু বলতে পারি পেসার, স্পিনার এবং ব্যাটার যারাই খেলবেন, প্রত্যেকে শতভাগ দেবেন। পাঁচদিন ভালো খেলতে পারলে রোমাঞ্চকর হবে।’
অক্ষর প্যাটের, কুলদ্বীপ যাদব, রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ ভারতের। ওই হিসেবে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে সাকিব আল হাসান। বল হাতে এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। এর বাইরে তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম ইসলাম আছেন স্কোয়াডে। শক্তির বিচারে ভারতের চেয়ে খানিকটা পিছিয়ে বাংলাদেশের স্পিনাররা।
স্পিনাররা ব্যবধান গড়ে দিতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে শান্ত বলেছেন, ব্যবধানটা আসলে তখনই গড়া সম্ভব যখন পুরো দল হিসেবে খেলবো। শুধু স্পিনারদের দায়িত্ব তা না, ব্যাটসম্যান এবং পেস বোলারদেরও সমান দায়িত্ব। পুরো দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ।