বাংলাদেশ থেকে প্রথম চীনে চিকিৎসা নিতে গেলেন ১৪ রোগী

বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো চীনের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন ১৪ জন রোগী। তাদের পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকসহ সব মিলিয়ে চীনের কুনমিংয়ে গেছেন ৩১ জন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চীনে চিকিৎসা গ্রহণের সম্ভাবনার দ্বার খুলল।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করে চীনের কুনমিংয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দেন রোগীরা। এ সময় তাদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত হন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ান ওয়েন। পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে আমরা সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী। কুনমিংয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, মেডিকেল চেকআপ ও চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম ব্যাচ চীনের পথে রওয়ানা হলো আজ সোমবার। ১৪ জন রোগী ও তাদের পরিবারের ছয় সদস্য, পাঁচজন চিকিৎসক, পাঁচজন এইচইউসি প্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ এই দলে রয়েছেন ৩১ জন।
ইয়াং ওয়েন বলেন, চীন রোগীদের সক্ষমতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একাধিক স্কিম রেখেছে। বাংলাদেশ থেকে যারা চীনে চিকিৎসার জন্য যেতে আগ্রহী তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। চীনা এয়ারলাইন্স রোগীদের স্বল্পমূল্যে প্লেনের টিকিটের ব্যবস্থাও করছে।
বিমানবন্দরে কর্মকর্তারা জানান, চীন সরকার বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী চারটি হাসপাতাল ডেডিকেট করেছে। সবগুলো হাসপাতালে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মী, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।