শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

বরিশালে এনসিপির সভায় হট্টগোল-হাতাহাতি

রিপোর্টার / ৫ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫

বৃহস্পতিবার বরিশালে এনসিপির মতবিনিময় সভায় হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কর্মীদের মূল্যায়ন না করা এবং জেলা ও মহানগর নেতাদের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সেখানে স্লোগান দেন দলটির সমর্থকদের একাংশ।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে এনসিপির মতবিনিময় সভা শেষে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে আটকে দেওয়া হয় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর।

জানা গেছে, পটুয়াখালী ও দুমকির কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বরিশালে পৌঁছান নাহিদ। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময় সভা চলার একপর্যায়ে সভাস্থলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীদের একটি দল। তারা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলা ও বৈঠকের দাবি জানান। তাৎক্ষণিক উপস্থিত অন্যরা তাদের শান্ত করলেও কর্মসূচি শেষে নাহিদ ইসলাম চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে তারা তাকে ঘিরে ধরেন। পরে আবার তাকে সভাকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এনসিপির একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সময় মিলনায়তনে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই পক্ষ। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়।

গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া মৌলিক সংস্কার সম্ভব নয়: নাহিদ

বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বর্তমানে বরিশালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়ে তারা কথা বলতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এমন পরিস্থিতি চলার পর ফের সভাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন নাহিদ। এ সময় আবার তার গাড়ি আটকে দেন বিক্ষুদ্ধরা। একপর্যায়ে তাদের এড়িয়ে নাহিদ ইসলামকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি ঢাকার পথে রওয়ানা হন।

খবর পেয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ, ডিবি ও এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের একাধিক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলনের সাত মাস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশালের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি। তারা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে মিটিং করেন। বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাহেদ ও জেলার সদস্য সচিব ওয়াহিদুর রহমানসহ আরও কিছু নেতা কর্মীদের খোঁজ নেন না বলে তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সভায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) ডা. মাহমুদা আলম মিতুসহ বরিশাল জেলা ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর