সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫০ অপরাহ্ন

ফারদিন হত্যা: চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ডিবি প্রধান

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৬৭ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে (২৪) সর্বশেষ যাত্রাবাড়ীতে দেখা গিয়েছিল। সাদা গেঞ্জি পরা ৩-৪ জন যুবক পরশকে লেগুনায় তুলে তারাবোর দিকে নিয়ে যান। লেগুনার চালক ও আরোহীদের খোঁজা হচ্ছে। চনপাড়ায় নয় অন্য কোথাও খুন করা হয়েছে পরশকে- এমনটিই দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, চনপাড়ায় ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে না ডিবি। তবে আরও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। হারুন বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টার দিকে ফারদিনকে যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। সাদা পোশাক পরা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে লেগুনার ওঠেন তিনি। এরপর লেগুনায় তারাবো বিশ্বরোডের দিকে চলে যায়। ওই সময় লেগুনায় আরও চারজন ব্যক্তি ছিলেন।

ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান বলেন, সাদা পোশাক পরা ব্যক্তি, লেগুনার চালক ও লেগুনায় আগে থেকে অবস্থান করে চার জনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। খুন চনপাড়ায় হয়নি উল্লেখ করে হারুন বলেন, সময় ও দূরত্ব বিবেচনা করলে ওই রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে ফারদিনের চনপাড়ায় যাওয়া সম্ভব না। আবার সেখানে থেকে চনপাড়ার দিকে রওয়ানা দিলেও আড়াইটার মধ্যে পৌঁছানো অসম্ভব। তাই খুন চনপাড়ায় না অন্য কোথাও হতে পারে বলে ধারণা করছে ডিবি পুলিশ।

ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ডিবি পুলিশ নিবিড়ভাবে কাজ করছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিন রাতে ফারদিন গুলিস্তান, সেখান থেকে জনসন রোড, সেখান থেকে যাত্রাবাড়ী ভ্রমণ করেছেন। যাত্রাবাড়ীতে গিয়ে ফারদিন লেগুনায় ওঠেন। এ বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

এর আগে, গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর