প্রিগোজিনের সম্ভাব্য মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া

রাশিয়ায় একটি বেসরকারি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রুশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, উড়োজাহাজটিতে তিনি ছিলেন। বিধ্বস্ত হয়ে এর ১০ আরোহীর সবাই মারা গেছেন। তবে ওয়াগনার প্রধান সত্যিই ফ্লাইটেছিলেন কিনা তা স্বাধীনভাবে কোনও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারেনি। তার সম্ভাব্য মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
প্রিগোজিনের সম্ভাব্য মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, প্রিগোজিনের মৃত্যু সংবাদে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি জানি না কি ঘটেছিল। তবে আমি অবাক হইনি। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ইশারা ছাড়া রাশিয়ায় কিছুই হয় না। কিন্তু এই ঘটনার বিষয়ে আমি বেশি কিছু জানি না।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসনও বলেন, যদি প্রিগোজিনের মৃত্যু সংবাদ প্রমাণিত হয়, কেউ অবাক হবেন না।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের সহকারী মিখাইলো পোডোলিয়াক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ক্রেমলিনের সঙ্গে কেউ বিশ্বসঘাতকতা করেছিল, বিমান বিধ্বস্ত হওয়া তারই সংকেত। বিশ্বঘাতকতা মৃত্যুর সমান। এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিরোধীদেরকে শেষ করবেন পুতিন । যারা ভিন্ন মত প্রকাশের কথা চিন্তা করছে তাদেরকে ভয় দেখাবেন।
পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেবিগনিউ রাউ রাষ্ট্রীয় নিউজ চ্যানেল টিভিপি ইনফোতে বলেছেন, যারা পুতিনের ক্ষমতায় থাকার জন্য হুমকি, তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না।
প্রিগোজিনের মৃত্যুর খবরে সারা বিশ্বে হই চই পড়ে গেলেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তিনি এখন পর্যন্ত নিরব রয়েছেন। জানা গেছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর শুনেই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন পুতিন। কুরস্ক অঞ্চলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বার্ষিকী উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।