প্রধানমন্ত্রী হতে পার্লামেন্টে ভোটের মুখে থাই সংস্কারপন্থি নেতা পিটা

থাইল্যান্ডের নির্বাচনে জয়ী হওয়া সংস্কারপন্থি নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। মে মাসে তার দল নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তাকে সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা মনোনীত আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পেতে হবে। এই সমর্থন না পেলে তিনি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবারের এই ভোটের আগে পিটাকে আইনি জটিলতার মুখেও পড়তে হচ্ছে। আদালতে তাকে অযোগ্য করার আবেদন জানানো হয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। থাই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ৩৭৬ ভোট। জোটগতভাবে পিটার পক্ষে এখন পর্যন্ত ৩১২টি ভোট রয়েছে।
মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা বলেছেন, সিনেটরদের কাছে আমার ভিশন তুলে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। দ্বিধায় থাকা সিনেটরদের কাছে তা ব্যাখ্যা করব। পার্লামেন্টে ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন বলে তিনি আশাবাদী। তিনি অভিযোগ করেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠদের সরকার গঠনের প্রচেষ্টাকে বিভিন্ন উপায়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তার কথায়, ক্ষমতার পথে আমাদের দেশে এটি অনেকটাই স্বাভাবিক ঘটনা। আমি উৎসাহী এবং আশাবাদী এসব সমস্যা সমাধান হবে আমার ও জনগণের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পর।
দলটির সবচেয়ে বিতর্কিত প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে রাজপরিবারের সম্মান রক্ষার একটি আইন বাতিল করা। এই আইন অনুসারে, রাজপরিবারের মানহানির ঘটনায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। পিটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি আইনে পরিবর্তন আনবেন, যাতে রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না যায়।
থাইল্যান্ডের ধনাঢ্য রাজপরিবার দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পরিবারটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রাজপ্রাসাদের সমালোচনা বিরল, মূলত কঠোর আইনটির কারণে। রাজপরিবারের সরকারি ভূমিকা অরাজনৈতিক। যদিও রাজা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং অনেক প্রভাবশালী।